বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » প্রযুক্তি বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে চাই : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রযুক্তি বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে চাই : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী আইসিটিকে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন। এর অর্থ দাঁড়ায় বাংলাদেশ শুধুমাত্র কৃষি, পোশাক ও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং আইটি প্রোডাক্টের মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে চাই। এক্ষেত্রে অটোমোবাইল টেকনোলজি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে অটোমোবাইল শিল্পে প্রযুক্তিমূলক গবেষণা ও উন্নয়নে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসপায়ার টু ইনোভেট প্রকল্পটি ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্তম্ভ। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ইভেন্টটি ঘোষণা করেন, তখন দেশের কোনো খাতেই ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার বলতে কিছু ছিল না। আজকের সময় প্রযুক্তির যে ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে এর সবটাই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী তার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার পরামর্শে নিজের দপ্তরের আওতায় একসেস টু ইনফরমেশন নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেন। যার লক্ষ্য ছিল সরকারি সব সেবাগুলোকে যেন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায়। এটুআইয়ের ডিজিটাল সেন্টারের আওতায় সারা দেশের ১৭ হাজার উদ্যোক্তা প্রতি মাসে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এটুআইয়ের পাশাপাশি আরেকটা প্রজেক্ট শুরু করা হয় সেটা হচ্ছে উদ্যোক্তার সন্ধান করা। উদ্ভাবকের খোঁজে নতুন একটা ক্যাম্পেইন লঞ্চ করল, ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করল। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে এটুআই সারা দেশ থেকে অনেক উদ্ভাবকদের তুলে আনল। সজীব ওয়াজেদ জয় চাইলেন এদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। তারই একটা ফলাফল হিসেবে এসপায়ার টু ইনোভেটের সঙ্গে রানার অটোমোবাইলের একটি চুক্তি হলো। এ চুক্তির মাধ্যমে যারা ইনোভেশন ল্যাবের উদ্ভাবক, গবেষকরা রানার অটোমোবাইলের সঙ্গে কাজ করবেন এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশে কি প্রয়োজন সেটা বাস্তবায়ন করবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাশ্রয়ী, টেকসই এবং স্মার্ট একটা বাংলাদেশ তৈরি করা। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাও করার অন্যতম একটা চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে আমরা বৈদ্যুতিক গাড়িকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশ্বের অনেক দেশই এখন বৈদ্যুতিক গাড়িতে শিফট হচ্ছে। রানার অটোমোবাইলকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা বাংলাদেশে এই উদ্যোগটা গ্রহণ করেছে।
এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এমএমইবি এবং চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।