সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে কেন?
সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে কেন?
অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহীদের দমনের পাশাপাশি সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবস্থান আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা জাগাচ্ছে। কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশটিতে অবস্থানরত অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের পাঠাতে এই অপতৎপরতা বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন করে অনুপ্রবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন। তৎপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি)।
মিয়ানমারে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশমুখী করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একেবারে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের কায়দায় বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ওড়ানোর পাশাপাশি টানা গুলিবর্ষণ এবং মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর মধ্যে চারটি মর্টার শেল এবং অসংখ্য গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। আগেরবারের মতোই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটাতে মিয়ানমারের এই কৌশল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
তারা বলেন, ‘মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের এ দেশে প্রবেশের চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমরা তাদের এখানে জায়গা দেব না। আমরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করব।’
তবে আগে মানবিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয় বাসিন্দারা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিলেও এবার তাদের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই ভিন্ন। শুধু ২০১৭ সালের আগস্ট মাসেই অন্তত নয় লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে। এখন সে সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ। এবার তাই অনুপ্রবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করে টিকে থাকুক। তাদের বাংলাদেশে জায়গা দেয়া মানে তাদের প্রতিবন্ধী করে ফেলা।
যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে দাবি বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল ফয়জুর রহমানের।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে অপরাধের মধ্যে অনুপ্রবেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি যেকোনো জায়গা দিয়ে ঘটতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে আছি, যাতে মিয়ানমারের কোনো নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।’
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ায় এরই মধ্যে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তারপরও সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবস্থান তো রয়েছেই, এখন আবার নতুন করে বাঙ্কার খনন করছে তারা।