শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ফিলিস্তিনিদের প্রেমে পড়তেও ইসরাইলের অনুমতি!
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ফিলিস্তিনিদের প্রেমে পড়তেও ইসরাইলের অনুমতি!
১২০ বার পঠিত
রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফিলিস্তিনিদের প্রেমে পড়তেও ইসরাইলের অনুমতি!

---

অধিকৃত পশ্চিম তীরে কোনো ফিলিস্তিনির প্রেমে পড়লে বিদেশিদের অবশ্যই ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নতুন এক বিধিতে এমনটাই বলা হয়েছে। খবর বিবিসির।

বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি যদি ফিলিস্তিনিকে বিয়ে করেন, তাহলে ২৭ মাস পর তাদের পশ্চিম তীর ছাড়তে হবে। পশ্চিম তীরে বসবাস বা ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক বিদেশিদের জন্য জারি করা কঠোর নিয়মের অংশ এটি।

ধারণা করা হচ্ছে, এটি পশ্চিম তীরে বসবাসকারী বা পরিদর্শন করতে ইচ্ছুক বিদেশিদের ওপর নিয়ম কঠোর করার একটি অংশ।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরাইল। এখন কোগাট নামের ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রশাসনের ভূমিকায় রয়েছে।

ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইল বিদেশিদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধকে ‘নতুন স্তরে নিয়ে গেছে’। আগামী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ও সেখানে ভ্রমণ করা বিদেশি নাগরিকদের জন্য বিধিনিষেধের একটি দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের কারো সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করার ৩০ দিনের মধ্যে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

ফিলিস্তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১৫০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী সেখানে ভিসা পাবেন। বিদেশি শিক্ষকদের জন্য থাকবে ১০০টি কোটা। তবে ইসরাইলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের কোনো সীমা নেই।

এছাড়া ব্যবসায়ী ও সহায়তা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইসরাইলের জারি করা বিধিনিষেধের ফলে তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। বিধিনিষেধের ফলে ভিসার মেয়াদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হচ্ছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনি সংগঠন পিএলও বলছে, ইসরাইলের এমন নীতি বৈষম্যমূলক। এতে একটি রাষ্ট্র ও দুটি ভিন্ন ব্যবস্থার বাস্তবতা উঠে এসেছে। তবে এ বিষয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিরাপত্তার কারণে এ অঞ্চলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। তবে নতুন নিয়ম ইসরাইলের পাশাপাশি পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি নিয়ন্ত্রিত অংশ বা ইহুদি বসতি এলাকার জন্য প্রযোজ্য নয়।



আর্কাইভ