রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » গোপালগঞ্জ | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে চট্টগ্রামের সাড়ে ৩শ’ আ’লীগ নেতা কর্মীর শ্রদ্ধা
পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে চট্টগ্রামের সাড়ে ৩শ’ আ’লীগ নেতা কর্মীর শ্রদ্ধা
পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে এই প্রথম চট্টগ্রামের সড়ে ৩শ’ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও নেতা কর্মীরা প্রথম পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মানুষের ঢল নামে।
গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় চট্টগামের নেতা কর্মীরা টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁচ্ছেন। প্রত্যেকে সাদা পাঞ্জাবী, পায়জামা ও মুজিব কোট পড়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শোভাযাত্রা সহকারে প্রবেশ করেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সংসদ সদস্য এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধূরীর নেতৃত্বে সাড়ে ৩ শ’ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তারা পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধু সহ ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এবং ৭১ এর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন।
এ সময় রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধূরী বাবুল, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ ওহাব, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, শ্যামল কুমার পালিত,কামরুল হোসেন বাহাদুর, রাউজানের ১৪ ইউপি চেয়ারম্যান, রাউজানের প্রত্যেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধূরী এমপি সংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের জাতির অহংকার। এসেতু সারা বিশে^ আমাদের পরিচিতি বহন করবে। বঙ্গবন্ধু দেশ দিয়েছেন। এ জন্য বাংলাদেশ যতদিন থাকবে বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা চিত্তে স্মরণ করবে। আর আমাদের অর্থে পদ্মা সেতু করে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমরা টুঙ্গিপাড়া আসার পথে পদ্মা সেতু পরিদর্শণ করেছি। তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল করতে পারে।
রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত বলেন, আমরা আগেও টুঙ্গিপাড়া এসেছি। তখন পদ্মা নদী পার হতে ৩/৪ ঘন্টা লাগত। দুর্ভোগ ছিল। আজ পদ্মা পার হয়েছি মাত্র ৬ মিনিটি। চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়া আসতে ৩ ঘন্টা সময় বেঁচেছে। পদ্মা সেতু আমাদের অন্যতম প্রাপ্তি। এ সেতুতে ওঠা মাত্র আমাদের আনন্দে বুঁক ভরে গেছে।
বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ তোফায়েল আহম্মেদ এলিন বলেন, পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে এই প্রথম টুঙ্গিপাড়া আসলাম। এখানে জাতির পিতা ঘুমিয়ে আছেন। টুঙ্গিপাড়া আমাদের ইমশনের জায়গা। তাই ভাষায় অনুভূতি ব্যক্ত করতে পারছি না। তবে এটি আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
এদিন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পদ্মা পাড়ি দিয়ে প্রথম টুঙ্গিপাড়া এসে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া এ দিন বিভিন্ন জেলার শ্রেণি পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের কিউরেটর নুরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। শনিবার ও শুক্রবার সমাধিসৌধে চট্টগ্রাম, উত্তরাঞ্চলসহ দূরবর্তী বিভিন্ন জেলার মানুষের সমাগম ঘটে। সারদিনই চলে শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা। এখানে মানুষের ঢল নামে।