শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়: র্যাব ডিজি
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়: র্যাব ডিজি
জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘র্যাব সব সময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।’
শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন র্যাব ডিজি।
হলি আর্টিজান হামলায় তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।
তাদের স্মরণে গুলশান মডেল থানার সামনে দীপ্ত শপথ নামে এই দুই অফিসারের ভাস্কর্য বানানো হয়। প্রতি বছর হলি আর্টিজান হামলার বার্ষিকীতে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আজ থেকে ছয় বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে এতে তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। যারা মারা গিয়েছেন আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও আত্মার শান্তি কামনা করছি। ঐ সময় দুই জন পুলিশ অফিসার বীরত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।
‘র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান কর্নেল আজাদ সিলেটে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হন। আমি তার রুহে আত্মতার মাগফেরাত কামনা করছি। তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি’ বলেন বাহিনীর মহাপরিচালক।
ডিজি বলেন, ‘হলি আর্টিজান ঘটনার পর পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ঐ এলাকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিই। অভিযান পরিচালনা করার মতো একটি পরিবেশ সৃষ্টি করি। হলি আর্টিজানের ঘটনা যেদিন সংঘটিত হয় সেদিন জঙ্গিরা অনলাইনে লাইভ করেছিল। তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করছি ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘র্যাব আজ পর্যন্ত তিন হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে। হলি আর্টিজানের পর আমরা এক হাজার ৫০০ এর বেশি জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার জঙ্গিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মূল পরিকল্পনাকারী আমির সারোয়ার জাহান, অর্থায়ন ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামনুর রশিদ রিপন।’
র্যাব ডিজি বলেন, ‘বিভিন্ন বাহিনী আমরা এক সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করি। সরকারের ঘোষিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে আমরা সমন্বিতভাবে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ও আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছি।’
‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ দমন করেছি সেই ধারাবাহিকতা ধরেও রেখেছি। সাইবার জগতে আমরা জঙ্গি কার্যক্রমের বিষয়ে নজরদারি রাখছি। জঙ্গিবাদ দমনে সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। যার কারণে জঙ্গিবাদ এখন তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারছে না। তার পরেও আমরা কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না, সব সময় সতর্ক আছি’ বলেন র্যাবের ডিজি।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘আমরা ইতমধ্যে ১৬ জঙ্গিকে ডিরেডিকালাইজেশন করেছি। আমরা ১৬ জন জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করিয়েছি। তাদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, তারা আবার জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে কিনা।’
‘যদি কেউ জঙ্গিবাদের পথ ছেড়ে ভালো পথে আসতে চায়, কোনো অপরাধে জড়িত না হয় তাদেরকে ডিরেডিকালাইজেশন করে শান্তির পথে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করি।’ বলেন র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।