রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | মুন্সীগঞ্জ | শিরোনাম » পদ্মা সেতু পারাপারে ‘রমরমা ব্যবসা’
পদ্মা সেতু পারাপারে ‘রমরমা ব্যবসা’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের যেন তর সইছে না। যে যেভাবে পারছেন, তাতে চড়েই পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন। অনেকেই বাস, মাইক্রো, প্রাইভেটকার ভাড়া করে আনন্দ ভ্রমণে বেরিয়েছেন। কেউ বা মোটরসাইকেলে চড়ে। এসব দর্শনার্থীদের নিয়ে সেতু পারাপারে চলছে ‘রমরমা ব্যবসা’। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের। তারা সেতু পার হতে জনপ্রতি নিচ্ছেন ২০০ টাকা।
এসব ভাড়ার মোটরসাইকেলে দুজন করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। অনেক যাত্রীরই নেই হেলমেট। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মোটরসাইকেল চালক সুমন ইসলাম বলেন, সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগছে মিনিট দশেকের মতো। সেতুতে মোটরসাইকেলের টোল ১০০ টাকা। টোলের খরচ বাদে ১০ মিনিটের একেকটি ট্রিপে লাভ থাকছে ৩০০ টাকা।
শরীয়াতপুরের এই মোটরসাইকেল চালক বলেন, বেকার বসে না থেকে মোটরসাইকেলে ভাড়া টানি। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ায় আয়ের নতুন একটা উৎস হয়েছে। দর্শনার্থীদের পদ্মা সেতু ঘুরিয়ে দেখা যাবে।
পদ্মা সেতু দেখতে আসা রাশেদুল ইসলাম এসেছেন ঢাকা থেকে। তিনি মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেখতে এসেছি। এসে মোটরসাইকেল পেয়েছি। ভালোই হলো, সেতুতে দাঁড় করিয়ে ছবিও তোলা যাবে।
মোটরসাইকেলের মতো মাইক্রোবাসেও বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা কেউ করছে না। ১১ আসনের একটি মাইক্রোবাসে নেয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ জন যাত্রী। একেকজনের ভাড়া ২০০ টাকা। এক হাজার ৩০০ টাকা টোল দিয়ে একেক ট্রিপে লাভ থাকছে প্রায় ২ হাজার টাকা।
মাওয়া প্রান্তে একজন মাইক্রোবাসের চালকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, সকাল ৮টার দিকে মাওয়া থেকে একটি ট্রিপ নিয়ে যান জাজিরা প্রান্তে। পরে জাজিরা থেকে আরেক দফা যাত্রী নিয়ে সেতু পাড়ি দিয়েছেন।
পিছিয়ে নেই যাত্রীবাহী বাসও। মাওয়া পর্যন্ত রুট পারমিট আছে, এমন বাসও আজ যাত্রী নিয়ে ছুটছে ভাঙ্গায়। সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া হওয়ার কথা ১০০ টাকা। কিন্তু ২০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে বাসে।
শনিবার (২৫ জুন) বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন মধ্য দিয়ে মুহূর্তেই অবসান হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ ভোগান্তি আর যানজটের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দেশের বৃহত্তম এবং পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ এই সেতুটি।
অনেক মূল্যে পাওয়া পদ্মা সেতু এখন উৎসবমুখর। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টায় খুলে দেয়া হয় যানবাহন চলাচলের জন্য।