বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | টাঙ্গাইল | শিরোনাম » টাঙ্গাইলে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ যুবকের ফাঁসির আদেশ
টাঙ্গাইলে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ যুবকের ফাঁসির আদেশ
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে গণধষর্ণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন। একই মামলায় আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ দাস, ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। এছাড়া একই গ্রামের মেহেদী হাসান টিটুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ওই স্কুলছাত্রী ২০২১ সালের ২ আগস্ট বাড়ি থেকে নানির বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে কোথাও না পেয়ে ৪ আগস্ট গোপালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান বাবা। পরে থানা থেকে তাকে জানানো হয়, মেয়ের একটি ছবি নিয়ে আসতে হবে। এ কথা শুনে ছবি আনতে বাড়ি চলে যান তিনি। ওইদিন ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর যমুনা নদীর পাড়ে বস্তাবন্দি একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের পর নিহতের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় ওই দিনই বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহটি উপজেলার ছাব্বিশা কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছবি দেখে স্বজনরা উদ্ধার হওয়া মরদেহটি স্কুলছাত্রীর বলে শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৬ আগস্ট ভূঞাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয়, মিজানুর রহমান ও মেহেদী হাসান টিটুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে তিনজনের ফাঁসি ও একজনকে খালাস দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।