বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এমওইউ সই করেছে বাংলাদেশ
জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এমওইউ সই করেছে বাংলাদেশ
গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনোভেশনের মধ্যে বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ. এলম্যানডর্ফ স্মারকটি সই করেন।
কনস্যুলেট জেনারেল বলছে, এ বিশেষ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে, যার লক্ষ্য পাঠ্যক্রমের পুনর্মূল্যায়ন এবং জনপ্রশাসনের পর্যালোচনা, নীতিনির্ধারকদের প্রশিক্ষণ ও যৌথ গবেষণার সুযোগ অন্বেষণ করা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গতিশীল জনসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত অনেক উদ্যোগের মধ্যে এ সমঝোতা স্বাক্ষর একটি বিশেষ উদ্যোগ হয়ে থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক ড. শামীমা নাসরিন, উপ-পরিচালক আরিফুজ্জামান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ড. কায়কাউস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরেন এবং এসডিজি-২০৩০ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, অ্যাশ সেন্টারের সঙ্গে সহযোগিতা বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
এ বছরটি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের কথা উল্লেখ করে ড. কায়কাউস দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মধ্যকার সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে বিশেষ করে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত ও গভীর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়া অ্যাশ সেন্টারের জন্য বিশেষ গুরুত্ববহন করে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ. এলম্যানডর্ফ এ সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক অর্জন এবং এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশের সক্রিয়, বাস্তববাদী নীতি ও কৌশলের পাশাপাশি দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।