সোমবার, ২৩ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » সাইবার সিকিউরিটি, ই-গভর্নেন্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী থাইল্যান্ড
সাইবার সিকিউরিটি, ই-গভর্নেন্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী থাইল্যান্ড
সাইবার সিকিউরিটি, ই-গভর্নেন্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা ও নলেজ শেয়ারিং বিষয়ে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড।
আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ (Digital Economy & Society) মন্ত্রী চাইউত থানাকামানুসর্ন এর সাথে তাঁর দপ্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ উপমন্ত্রী নিউইন চোচাইয়াথিপ, মন্ত্রীর উপদেষ্টা টিটাভুন্নো, এইচ ই ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাই, কাউন্সিলর মোঃ মাসুমুর রহমান, কাউন্সিলর ও হেড অভ্ চেন্সারি দয়াময়ী চক্রবর্তী ও সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ডিজিটাল স্বাস্থ্য, ডিজিটাল শিক্ষা, ডিজিটাল সরকার, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, গবেষণা এবং উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, চাইউত থানাকামানুসর্ন এর কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বাংলাদেশের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের জিআরপি, ই-নথি ইত্যাদির অভিজ্ঞতা এবং ডিজাইন শেয়ারের বিষয়টি তাদের কাছে বর্ণনা করেন। প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেট ব্যবহার, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাইল্যান্ডের মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।
থাইল্যান্ডের মন্ত্রীদ্বয় জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেটের অনুপ্রবেশ, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল গভর্নেন্সে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা শুনে অভিভূত হন।
বৈঠকে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি মন্ত্রণালয় (MDES) এর গঠন ও প্রকৃতি বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের মতোই যা উভয় দেশের জন্য আশাব্যঞ্জক। এতে আরো জানানো হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে যা থাইল্যান্ড ইতিমধ্যেই এ আইন চালু করেছে।
পলক জানান, আইসিটিতে আঞ্চলিক শক্তি গড়ে তুলতে আমরা সমস্ত বিমসটেক দেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি যে বিমসটেক দেশগুলোকে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া এবং যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন এবং বিশেষ করে ডেটা নীতি তৈরি করতে হবে।
এছাড়া আইসিটি প্রতিমন্ত্রী রাজধানী ব্যাংককে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অভ্ টেকনোলজি (এআইটি) ক্যাম্পাসে এআইটি এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার সুযোগ’শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার সংলাপে বক্তব্য রাখেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিলোসফি অভ্ রেভুলেশন। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের গল্প তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।