রবিবার, ২২ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ধসে পড়া জম্মু-কাশ্মীর টানেল থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধার
ধসে পড়া জম্মু-কাশ্মীর টানেল থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধার
জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলায় টানেলে কাজ করার সময় ধস নামে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে এ দুর্ঘটনায় হঠাৎই চাপা পড়েন ১০ শ্রমিক। ৩৬ ঘণ্টা দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের পর শনিবার (২১ মে) সবার মরদেহ বের করে আনা হয় ৷ এদের মধ্যে আছেন পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ শ্রমিক। খবর এনডিটিভির।
জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কের একটি টানেলে ১০ শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে এখানে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরিবারগুলোকে জানানো হয়েছে। ১০টি মরদেহর মধ্যে পাঁচটি পশ্চিমবঙ্গের। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ অপারেশনটি সম্পন্ন হয়েছে। জেলা আধিকারিক মুসারাত ইসলাম জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রামবান জেলা পুলিশ সুপার মোহিতা শর্মা জানান, উদ্ধার অভিযানের শেষদিকে আরও একটি মরদেহ দেখা গেছে। এখানে বোল্ডার সরানোর জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। পরে তা উদ্ধার করা হয় এবং সব কটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ মে) প্রথম মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই মৃতদেহ ছিল পশ্চিমবঙ্গের এক শ্রমিকের। তারপর একে একে বাকি সব মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের রামবন জেলার খুনি নালার কাছে হাইওয়েতে টি ৩-এর অডিট টানেলটি কাজ শুরু করার সময় ধসে পড়ে। তখনই ঘটে গুরুতর বিপত্তি। আটকে পড়েন সব শ্রমিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মৌলিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, টানেল খোলার ঠিক উপরে, ঢাল স্থিতিশীলকরণ এবং শিলা পতন সুরক্ষা কাজ একটি পূর্বশর্ত। শ্রমিকরা টানেলের কাজ শুরু করার আগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে মনে হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। ভূমিধস বা অন্যান্য প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পাহাড়ের পাদদেশে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে শুক্রবার তা স্থগিত করা হয়েছিল। মাকেকোট এলাকায় একটি পাহাড়ের অংশ ধসে পড়ে এবং উদ্ধার অভিযান সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচজন পশ্চিমবঙ্গের। তারা হলেন যাদব রায় (২৩), গৌতম রায় (২২), সুধীর রায় (৩১), দীপক রায় (৩৩) ও পরিমল রায় (৩৮)। জম্মু ও কাশ্মীরের দুজন হলেন মুজাফফর (৩৮) ও ইসরাত (৩০)। আসামের একজন হলেন শিব চৌহান (২৬)। বাকি দুই মরদেহ নবরাজ চৌধুরী (২৬) ও কুশি রাম (২৫) হলেন নেপালের বাসিন্দা।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা একটি কন্ট্রোল রুম থেকে অপারেশন তত্ত্বাবধান করেন।
এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। রামবানের ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী মনোজ সিনহা নির্মাণকারী কোম্পানিকে প্রত্যেক মৃতের পরিবারপিছু ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গভর্নর তার ত্রাণ তহবিল থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।