বুধবার, ১৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার যা প্রয়োজন সব করবে : হানিফ
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার যা প্রয়োজন সব করবে : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার যা যা করার প্রয়োজন সব করবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী ও যথাসময় হবে। আমরা চাই নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হোক এবং সব দল অংশগ্রহণ করবে। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সরকারের যা যা করার প্রয়োজন সব করবে।’
হানিফ আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আগামী নির্বাচন, রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’ নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। যৌথভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ (আইপি) টিভি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। বিএনপি বলেছে তারা নির্বাচনে অংশ নিবে না। রাজনীতির মাঠে সুবিধা নেয়ার জন্য, দরকষাকষি করার জন্য এসব বলছে। হঠাৎ করে বলছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে না, এখন এই প্রশ্ন আসছে কেন? কারণ তারা সরকারের উন্নয়ন মেনে নিতে পারিনি তাই। এখন তারা নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে চায়।
বিএনপি ২০১৮ সালে অংশ নিয়েছিলো তাহলে কেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে না? এমন পশ্ন রেখে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালের নিবাচনে অংশ নেয়নি। কারণ এখনকার প্রেক্ষাপট আর তখনকার প্রেক্ষাপট এক নয়। তখন তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দুটি কারণ ছিলো। প্রথমতো, তাদের শীর্ষ নেতার একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে জেলে ছিলেন। আরেকজনের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস মামলায় আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পলাতক ছিলো। একটা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলে ছিলো এটা একটা কারণ।
দ্বিতীয়ত কারণের হিসাবে তিনি বলেন, বিএনপির মূল শক্তি হলো জামায়াত। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি নেতারা বলেছেন, ছাত্রশিবির আর ছাত্রদল একই মায়ের দুই সন্তান। বিএনপি-জামাত একই মায়ের পেটের দুই ভাই। একই মুদ্রার এপিট-ওপিট। এদের সৃষ্টি একই জায়গা থেকে। জামাতের নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৩ সালে তাদের ফাঁসির রায় হয়। তাই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিলো না। জামায়াত যেহেতু অংশ নিতে পারছে না, তাই বিএনপিও অংশ নেয়নি।
মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া ও এর আগে করোনা ছিলো। এমন পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। বাংলাদেশ ছোট দেশ ধাক্কা লাগাটা স্বাভাবিক। শেখ হাসিনা যথেষ্ট ভালোভাবে দেশের অথনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছেন। বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট ভালো এবং স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে।
বিবার্তা২৪ ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসির সভাপতিত্বে ও জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।