বুধবার, ১৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সমালোচনার জবাব সেঞ্চুরিতেই দিলেন মুশফিক
সমালোচনার জবাব সেঞ্চুরিতেই দিলেন মুশফিক
টেস্টে নিজের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন `মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে মুশফিক শতক হাঁকিয়েছেন ২৭০ বলে। এর আগে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে পাঁচ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান মুশি। আশিথা ফার্নান্ডোকে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিঃ ডিপেন্ডেবল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথমে শতক পেয়েছেন তামিম ইকবাল। তামিমের ইনিংস থামে ১৩৩ রানে। তামিমের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতকের দেখা পেলেন মুশফিক। তামিমের মতো মুশফিকও সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ২৬ মাস পর। ৪ চারে তিনি শতক করেছেন ২৭০ বলে।
রানখরায় ভুগতে থাকা মুশফিককে নিয়ে চারদিকে চলছিল কানাঘুষা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত দাবল সেঞ্চুরির পর আর কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। এ সময়ে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৯১ রানের। ২০২১ সালের নভেম্বরে এই চট্টগ্রামেই তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯১ রান করেছিলেন।
সেঞ্চুরি না পেলেও এ সময়ে মুশফিক হাফ সেঞ্চুরি করেছেন চারটি। যা মোটেই তার নামের প্রতি সুবিচার করে না। অসময়ে রিভার্স সুইপ কিংবা স্লগ সুইপ খেলায় এই সিরিজের আগে তুমুল সমালোচনা হচ্ছিল তাকে নিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টে যেন এই দুই শট না খেলার প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন মুশফিক। রানের জন্য বাউন্ডারির চেয়ে গ্যাপে খেলে সিঙ্গেলস-ডাবলস নিতেই বেশি উৎসাহী ছিলেন মুশফিক। তার প্রমাণস্বরূপ সেঞ্চুরি ইনিংসে মাত্র চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি।
২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মুশফিকের। এরপর টানা ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের জয়, পরাজয় কিংবা রেকর্ডের সঙ্গী এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ২০১৬ সালে তার অধীনে ইংল্যান্ডকে প্রথবারের মতো টেস্টে হারায় বাংলাদেশ। এছাড়াও এর পরের বছরই মুশফিকের অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় টাইগাররা।
২৬ ফিফটির সঙ্গে সাদা পোশাকে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। বিশ্ব ক্রিকেটে একমাত্র উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে টেস্টে একের অধিক ডাবল সেঞ্চুরির মালিক একমাত্র মুশফিকই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিশতক করার মাধ্যমে ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুইটি দ্বিশতক করার রেকর্ড গড়েন মুশফিক। বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন দ্বিশতক ইনিংসের মালিক একমাত্র মুশফিকই।
এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরির আগে দুটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন মুশফিক। এই টেস্টেই তামিমের কাছে হারানো ‘টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান’- এর রেকর্ডটি আবার নিজের করে নিয়েছেন মুশফিক। তারপর ৬৮ রানের সময় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রানের মালিক হয়েছেন তিনি। পাঁচ হাজারি ক্লাবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তার সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন তামিম ইকবাল। তার দরকার মাত্র ১৯ রান।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৩৬ রান। লিড পেয়েছে ৩৯ রানের। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১৯৯ রানের উপর ভর করে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ৩৯৭ রান।