সোমবার, ১৬ মে ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বন্দরে আসছে নতুন ট্যারিফ নীতিমালা
বন্দরে আসছে নতুন ট্যারিফ নীতিমালা
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে নতুন করে আরোপ করা হচ্ছে ট্যারিফ। দুই বছর বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত করা হয়েছে মাশুল আদায়ের পরিকল্পনা।
আগে ৬০ ধরনের সেবার ট্যারিফ ডলারে পরিশোধ হলেও এবার প্রস্তাবনা অনুযায়ী সব ধরনের সেবার মূল্য পরিশোধ করতে হবে ডলারে। তবে প্রস্তাবিত ট্যারিফে দুই থেকে তিনগুণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
সবশেষ ১৯৮৬ সালে ব্যবহারকারীদের ওপর মাশুল বা ট্যারিফ আরোপ করেছিলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসলেও হালনাগাদ করা হয়নি বন্দরের ট্যারিফ আদায়ের পদ্ধতি।
তাই ২০১৯ সালে শুরু হয় ট্যারিফ সিস্টেম আপগ্রেডেশেনের কাজ। আইডিওম নামের স্প্যানিশ একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। তবে চলতি বছর পুনরায় তোড়জোড় করে বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন ট্যারিফ অনেকটা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আমরা একটি সেমিনার করেছি। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করছি। পরবর্তীতে সবার সুবিধা মাথায় রেখে নতুন একটি নীতিমালার দিকে আগাব আমরা।’
আগে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা এবং যন্ত্রপাতির পাশাপাশি কর্ণফুলী নদী ব্যবহারে ৬০ ধরনের সেবার ক্ষেত্রে মাশুল আদায় করা হতো। এর মধ্যে ২৫ ধরনের সেবা মাশুল বন্দর ব্যবহারকারীরা টাকা এবং বাকি ৩৫ ধরনের সেবার মাশুল ডলারে পরিশোধ করতেন। কিন্তু প্রস্তাবনা অনুযায়ী এখন থেকে সব ধরনের মাশুল পরিশোধ হবে মার্কিন ডলারে।
এক্ষেত্রে বন্দরের আয় বাড়লেও প্রতিটি ক্ষেত্রে মাশুলের হার দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বাড়ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘নতুন ট্যারিফ নীতিমালায় খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এর প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপরে। এতে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে।’
বন্দরের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি তেলনির্ভর। গত তিন দশকে তেলের দাম অন্তত ৬ দফা বাড়লেও বাড়েনি মাশুল। তাই খরচ সমন্বয়ের জন্য মাশুল কিছুটা বাড়ছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের ট্যারিফ মুনাফাভিত্তিক নয়। আমরা বন্দরের খরচ কমাতে নতুন নীতিমালা আনছি।’
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে ব্যয় মিটিয়ে ১১ হাজার ৭৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের।