শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
সোমবার, ১৬ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন রোহিঙ্গারা
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন রোহিঙ্গারা
২০২ বার পঠিত
সোমবার, ১৬ মে ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

এবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন রোহিঙ্গারা

---

এবার ভারতের জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন রোহিঙ্গারা। গেল একমাসে কক্সবাজারের উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে ঠাঁই হয়েছে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, সেখানে পুলিশি নির্যাতন ও জেল-জুলুমের মুখে তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সরজমিনে কক্সবাজারের উখিয়াস্থ ট্রানজিট ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পের চারপাশে রয়েছে তারের বেড়া, সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের কঠোর নজরদারি। এই ক্যাম্পে স্থাপন করা তাঁবুতে আশ্রয় দেওয়া হয় নতুন আসা রোহিঙ্গাদের।

চলতি মাসে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার কিংবা ভারত থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমেই ঠাঁই হয় এই ক্যাম্পে। এরপর তাদের স্থানান্তর করা হয় অন্যত্রে। শনিবার (১৪ মে) রাতেও এই ট্রানজিট ক্যাম্পে এসেছে দুটি পরিবারে ১৮ রোহিঙ্গা। যারা নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে এসে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ করছেন বাংলাদেশে। তাদের দাবি, সেখানেও তারা নির্যাতনের শিকার।

জম্মু-কাশ্মীর থেকে আসা রোহিঙ্গা নারী আয়েশা বলেন, ভারতে থাকতে না পেরে বাংলাদেশে চলে এসেছি। সাত দিন হয়েছে ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করছি। ভারত থেকে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি রাতের আঁধারে। তবে দালালরা সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরেক রোহিঙ্গা নারী বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে জেলখানায় বন্দি করেছে। তার মধ্যে জেলখানায় শাশুড়ি মারা গেছেন দেড় বছর হচ্ছে। এমন করে প্রতিনিয়ত মানুষজন ধরে ধরে জেলখানায় বন্দি করছে। তাই বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছি।

মোহাম্মদ আছাদ (২৫) নামের আরেক রোহিঙ্গা বলেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছি ৫ দিন হবে। সে দেশের সরকার নির্যাতন করছে তাই এখানে চলে আসা। ট্রেনযোগে সীমান্তে এসে পরে রাতের আঁধারে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি।

ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থানরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, গেল এক সপ্তাহে ট্রানজিট ক্যাম্পে আমার আশপাশের তাবুতে প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা ভারতের জম্মু-কাশ্মীর থেকে চলে এসে এখানে অবস্থান করছে।

এদিকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে ১১ লাখেরও রোহিঙ্গার বসবাস। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

কুতুপালংস্থ ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কারণে আমরা উখিয়া টেকনাফের মানুষ নানামুখী সংকটে। কিন্তু এর বাইরেও এখন প্রতিবেশি দেশ থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি দাবি করেন, এসব রোহিঙ্গা থেকে মুক্তি চাই। যত দ্রুত সম্ভব সরকার এবং আন্তর্জাতিক মহল রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উখিয়াস্থ ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক মো. নাইমুল হক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি ভারত থেকে বেশ কিছু পরিবার ক্যাম্পে চলে এসেছে। তার সংখ্যা ৪০ পরিবারের মতো হবে। ক্যাম্পে আসলে তাদের হেফাজতে নিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জদের মাধ্যমে ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আগত রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মো. নাইমুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া অনেক রোহিঙ্গার আত্মীয়-স্বজন ভারতে রয়েছে। তারা দেখা করতে উখিয়ার ক্যাম্পে এসেছে। এছাড়াও অন্যান্য কিছু কারণও রয়েছে। সে কারণগুলোও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

প্রতিবেশি দেশ ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে গেল ৫ বছরে সীমান্তে দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা।



আর্কাইভ