শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » স্থবির কলম্বো বন্দর, শঙ্কায় বাংলাদেশ
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » স্থবির কলম্বো বন্দর, শঙ্কায় বাংলাদেশ
১৩৮ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

স্থবির কলম্বো বন্দর, শঙ্কায় বাংলাদেশ

---

অর্থনৈতিক স্থবিরতার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর এখন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়ায় শঙ্কার মুখে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

টানা ২০ ঘণ্টার অচলাবস্থার পর কলম্বো বন্দর সীমিত আকারে চালু হলেও ধীরগতির কারণে আটকা পড়েছে বিপুলসংখ্যক মাদার এবং ফিডার ভ্যাসেল। অথচ বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসাবে অন্তত ৪৫ শতাংশ পণ্য আনা-নেওয়ায় ব্যবহার হয় এ বন্দর।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, নীরব-নিস্তব্ধ অবস্থায় রয়েছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কারফিউ জারি হওয়ায় বুধবার (১১ মে) থেকেই এই বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

২০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরের দিকে সীমিত আকারে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলেও একেবারেই ধীরগতিতে চলছে আমদানি-রফতানি। আর শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় পণ্য ওঠানামাও অনেকটা বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৪৫ শতাংশ পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহার হয় শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর। যার আর্থিক পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। কিন্তু এই বছরের শুরু থেকেই দিনের পর দিন মাদার ভ্যাসেল এবং ফিডার ভ্যাসেলগুলোকে বন্দরের বার্থিংয়ের অপেক্ষায় থাকতে হয়। আর এখন বন্দরের কার্যক্রমই অনেকটা বন্ধ।

এ অবস্থায় পণ্য পাঠানো এবং কাঁচামাল আমদানি নিয়ে শঙ্কার মুখে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘যত দিন না শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তত দিন পর্যন্ত একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকতে হবে।’

বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমরা বিকল্প পথ খুঁজছি। মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের বন্দর ব্যবহার করা যায় কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

তবে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরকে এড়াতে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইতালি বন্দরে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, রফতানি পণ্য নিয়ে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো যদি কলম্বোর পরিবর্তে অন্য বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়, তাহলে সহযোগিতায় প্রস্তুত।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পাঠাতে কলম্বো বন্দরের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার বন্দর কেলাং ও তাঞ্জুম পালাপাস বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ।



আর্কাইভ