বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » সব নেতার আমলনামা দলীয়প্রধানের হাতে: নানক
সব নেতার আমলনামা দলীয়প্রধানের হাতে: নানক
আগামী নির্বাচনে প্রতিটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মাঠ জরিপ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে ১০০ আসনের জরিপ শেষ হয়েছে।
দলটির নেতারা বলছেন, স্বজনপ্রীতি, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন এবং জনসম্পৃক্ততা নেই এমন কোনো নেতাকে দেওয়া হবে না মনোনয়ন। নেতারা বলছেন, সমস্ত আমলনামা নেত্রীর কাছে যাচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় দেড় বছর। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এ নিয়ে রাজনীতিতে বিতর্ক থাকলেও মাঠ গোছাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা-উপজেলাতেও কমিটি করছে দলটি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী-এমপি ও তাদের স্বজনদের কর্মকাণ্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগ
গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়নে খুব একটা পরিবর্তন আনেনি দলটি। কিন্তু এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে ধরে নিয়েই সম্ভাব্যপ্রার্থী বাছাইয়ে মাঠ জরিপ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে শেষ করেছে ১০০ আসনের জরিপ।
সরকারি-বেসরকারি কয়েকটির সংস্থা এবং নিজস্ব টিমের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এ জরিপ। দলটির নেতারা বলছেন, সবপর্যায়ের নেতাদের আমলনামা যাচ্ছে দলীয়প্রধানের হাতে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহঙ্গীর কবির নানক সময় সংবাদকে বলেন, সমস্ত আমলনামা নেত্রীর কাছে যাচ্ছে। এমনকি আমরা যারা ডিভিশনাল দায়িত্বে রয়েছি, দায়িত্ব পালন করছি, আমরাও কিন্তু নেত্রীকে রিপোর্ট দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় প্রার্থী দিলে সেই জনপ্রিয় প্রার্থীর পক্ষে, নৌকার পক্ষে, শেখ হাসিনার পক্ষে ভোট হবে।
স্বজনপ্রীতি, অনুপ্রবেশকারী, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন এবং জনসম্পৃক্ততা নেই এমন নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, যাদের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে, যারা নির্বাচনে স্বচ্ছ ভোটেই নির্বাচিত হতে পারবেন তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। যারা ইতোমধ্যে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছেন এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাদের মনোনয়নই দেওয়া হবে না। এটি সুস্পষ্টভাবে নেত্রী (শেখ হাসিনা) জানিয়ে দিয়েছেন।
দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী, স্থানীয় নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নেওয়াদের দ্বাদশ নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে না বলেও জানান দলটির নেতারা।