রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের আশা
অনুকূল আবহাওয়ায় সতেজ হয়ে উঠছে মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলো। নতুন কুঁড়ির সবুজ রঙে বদলে গেছে চা বাগানের দৃশ্য। আর পাতা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চা উৎপাদনের রেকর্ড গড়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।
উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলার বুকজুড়ে সারি সারি চায়ের বাগান। গাছে গাছে ধরেছে নতুন কুঁড়ি। চারদিকে সবুজের সমারোহ। দীর্ঘ তিন মাস অপেক্ষার পর এসব কচি পাতা তুলতে ব্যস্ত চা-শ্রমিকরা।
বাগান থেকে চা পাতা তুলে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় কারখানায়। সেখানে সাতটি ধাপে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় চা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চা উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে চা উৎপাদনে গত বছরের রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বলেন, ‘যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো ও বৃষ্টি পাওয়া যায়, তাহলে রেকর্ড পরিমাণে চা উৎপাদনের আশা করছি আমরা।’
জেরিন টি স্টেটের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের চা উৎপাদন গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে।’
উৎপাদন লক্ষমাত্রার লক্ষ্যে, চা বাগান ও শ্রমিকদের সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানান, বাংলাদেশ চা বোর্ডের কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. এ.কে.এম. রফিকুল হক বলেন, ‘আমরা কেবল চা উৎপাদন নিয়েই কাজ করছি না। চা উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পোকামাকড় দমন, সেচ নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সার ব্যবস্থাপনা ও গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হবে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, চলতি বছর দেশের ১৬৭টি চা বাগানে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।