সোমবার, ৯ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | বরিশাল | শিরোনাম » আবারও জীবন্ত হয়ে উঠছে ব্রহ্মপুত্র-মধুমতীসহ ৩০ নদ-নদী
আবারও জীবন্ত হয়ে উঠছে ব্রহ্মপুত্র-মধুমতীসহ ৩০ নদ-নদী
পাল্টে যাচ্ছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, বাঁকখালী, ধলেশ্বরী, আত্রাই, সুরমা, মধুমতীসহ ৩০ নদ-নদী। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে নাব্যতা ফিরে আবারও জীবন্ত হয়ে উঠছে নদীগুলো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, আগামী জুনেই চালু হচ্ছে ২৪টি নৌরুট। আর চলতি অর্থবছর নাব্যতা ফিরছে ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার নৌপথের। তবে ড্রেজিংয়ের পথে অবৈধ দখলদাররা বড় বাধা বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
নদীর বুকে জমে থাকা পলি তুলছে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন। প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে প্রশস্ত হচ্ছে সরু চ্যানেল। মরা নদীর তকমা ঘোচাতে কীর্তনখোলা, বিষখালী, কংস, মনু, কুশিয়ারা, ভোগাই, দুধকুমারসহ ৩০টি নদী-নদীতে চলছে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের বিশাল কর্মযজ্ঞ।
৫৩টি নৌরুটকে লক্ষ্যমাত্রা ধরে ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের বর্তমানে চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। জুনে ৩০ নদীকে ঘিরে থাকা ২৪টি নৌরুটের নাব্যতা ফেরানোর কাজ সম্পন্ন হবে বলছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সময় সংবাদকে বলেন, ‘২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার নদীপথ উদ্ধার করতে পেরেছি। এটি আমাদের বড় সাফল্য। এ অর্থবছর মানে জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করব। গত অর্থবছর ১২ নদীর কাজ শেষ করেছি। মোট ৩৬টি নদীকে আমরা নাব্য করতে পেরেছি। আর এটাকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি চালিয়ে যাব। নিজস্ব ড্রেজার দিয়ে বা বেসরকারি যেসব ড্রেজার আছে সেগুলো দিয়ে।’
এদিকে, সময়মতো ড্রেজিং বাস্তবায়নের পথে স্থানীয় নদীতীরখেকোরা সবচেয়ে বড় বাধা বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘যে নদীগুলো মরে গিয়েছিল সেগুলো প্রায় মানুষের দখলে চলে গিয়েছিল। এসব নদীর জমিতে ধান চাষ হয়েছে, মানুষ বাড়িঘর করে বসত তৈরি করেছিল। সেখানে নদীর সীমানা নির্ধারণ করাটাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু তারা অনেকদিন ধরে দখল করেছিল তারা ভেবেছিল পৈতৃক সূত্রে এ জমি তারা পেয়েছে। তারপরও নদীর জমি উদ্ধার করতে পেরেছি আমরা। এরপর হলো মাটি ব্যবস্থাপনা, মাটি কোথায় রাখা হবে এটি খুবই জটিল বিষয় ছিল। এখানে অনেক সময় জায়গা পাওয়া যায়নি, ব্যক্তিমালিকানায় জায়গা নিতে হয়েছে। আবার এই মাটি নিয়ে এলাকায় দ্বন্দ্বও থাকে। যেমন, প্রশাসনিক বা ক্ষমতাসীনদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব থাকে এ মাটি নিয়ে।’
ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সব মৌসুমে দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথের নাব্যতা পুনরুদ্ধারে ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।