শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
রবিবার, ৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা | ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » সত্য ও সুন্দরের উন্মেষ ঘটিয়ে আঁধার কাটিয়ে আলোর রুপ প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে রবীন্দ্র দর্শনের মূল ভিত্তি - স্পীকার
প্রথম পাতা » খুলনা | ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » সত্য ও সুন্দরের উন্মেষ ঘটিয়ে আঁধার কাটিয়ে আলোর রুপ প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে রবীন্দ্র দর্শনের মূল ভিত্তি - স্পীকার
১৪৪ বার পঠিত
রবিবার, ৮ মে ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সত্য ও সুন্দরের উন্মেষ ঘটিয়ে আঁধার কাটিয়ে আলোর রুপ প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে রবীন্দ্র দর্শনের মূল ভিত্তি - স্পীকার

---

ঢাকা, ৮ মে ২০২২ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সত্য ও সুন্দরের উন্মেষ ঘটিয়ে আঁধার কাটিয়ে আলোর রুপ প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে রবীন্দ্র দর্শনের মূল ভিত্তি। প্রেম, ভালোবাসা, প্রার্থনা, মানবতা, সৃষ্টিকর্তা প্রভৃতি বিষয়ের নিগূঢ় সম্মেলন রবীন্দ্র লেখনীতে সমুজ্জ্বল।

কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলাস্থ শিলাইদহের রবীন্দ্রকুঠিবাড়ি প্রাঙ্গণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া আয়োজিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, স্মারক বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বক্তব্য রাখেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্যজীবনের এক উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে এবং এ সময়ের রচনাসমূহ বাংলা সাহিত্যে এক অমূল্য সংযোজন, যা বাংলা ও বাঙ্গালীকে একইসাথে গৌরবান্বিত ও সমৃদ্ধ করেছে। শিলাইদহ পর্বে কবি লিখেছেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, ক্ষণিকাসহ অসংখ্য কবিতা৷ লিখেছেন অর্ধশতাধিক ছোটগল্প এবং ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরাদেবীর নিকট লিখিত পত্রগুচ্ছ ‘ছিন্নপত্র’ এর ছাপ্পান্নটি পত্র।

স্পীকার বলেন, বাংলার অপূর্ব সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই কবিগুরু লিখেছেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’,- যা বঙ্গবন্ধু পরবর্তীতে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি লিখেছেন, আজি বাংলা দেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরুপ রুপে বাহির হলে জননী’,-বাংলা ও বাঙ্গালির প্রতি রবীন্দ্রনাথের আবেগ এগুলোর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, বিশ্বকবির লেখায় যেমন সামাজিক অনাচার, অবিচার, অত্যাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রয়েছে, তেমনি আছে সমাজে নারীর অবস্থান, সম্মান ও নারী অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার ডাক। তিনি রবীন্দ্রনাথকে জানার মাধ্যমে জীবনবোধ জাগ্রত করে শোষণ, বৈষম্যহীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে অগ্রসর হতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

কুঠিবাড়িতে উপস্থিত হয়ে স্পীকার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বকুল গাছ রোপন করেন এবং আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় জনসাধারণ, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



আর্কাইভ