শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | লাইফস্টাইল | শিরোনাম » চোখে সুরমা ব্যবহারে ইসলাম ও বিজ্ঞান
চোখে সুরমা ব্যবহারে ইসলাম ও বিজ্ঞান
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ ( সা.) আমাদের চোখে সুরমা পরার উপদেশ দিয়ে গেছেন। কেননা সুরমা ব্যবহার চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। হাদিস ও বিজ্ঞান গবেষণায়ও পাওয়া গেছে সুরমা ব্যবহারের নানান উপকারিতা।
সুরমা একটি খনিজদ্রব্য। এটি লিড সালফাইড হিসেবেও পরিচিত। এই খনিজদ্রব্য চূর্ণ করেই তৈরি করা হয় সুরমা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহারের উপদেশ দিয়েছেন এবং তার উপকারিতা বর্ণনা করেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা ঘুমের সময় অবশ্যই ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহার করবে। কারণ তা ব্যবহারে চোখের জ্যোতি বাড়ে এবং অধিক ভ্রু জন্মে। (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আবু ইয়ালা)
এ বিষয়ে হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু বলেন, প্রিয় নবীর (সা.) একটি সুরমাদানি (সুরমা রাখার পাত্র) ছিল। প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে তিনি ডান চোখে ৩ বার এবং বাম চোখে ৩ বার সুরমা লাগাতেন। (সুনানে বায়হাকি)
হাদিসের পাশাপাশি বিজ্ঞানেও মিলেছে এর উপকারী গুণ। নিয়মিত সুরমা ব্যবহারে চোখে জ্যোতি বাড়ে। কারণ চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে এই সুরমা।
চোখে জ্বালাপোড়া নিরাময় করার পাশাপাশি এটি চোখের প্রবেশকৃত ধুলা ও ক্ষতিকর পদার্থগুলো নিঃসরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া সুরমায় রয়েছে চোখের জন্য ছোঁয়াচে সব ধরনের রোগজীবাণুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা।
চোখের যাবতীয় কল্যাণে আমরা সবসময় প্রিয় নবীর উপদেশ মেনে সঠিক পদ্ধতিতে চোখে সুরমা পরব।