শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » রংপুর ও জামালপুরে আরো দুটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি হবে
রংপুর ও জামালপুরে আরো দুটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি হবে
দেশের সুষম উন্নয়নে বেসরকারি খাত বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার জামালপুর ও রংপুর জেলায় আরও দুটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে। এ লক্ষ্যে আজ মন্ত্রিসভা শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর আইন, ২০২২ এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৈঠকের পর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ক্রমবর্ধমান কাজের চাপের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে আমাদের বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বিএআরডি) এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) মতো আরও একাডেমি দরকার। উভয় আইনের ২৩টি ধারা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুটি একাডেমি বিএআরডি, কুমিল্লা এবং আরডিএ, বগুড়ার মতোই পরিচালিত হবে।
২১ সদস্যের বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব থাকবেন ভাইস-চেয়ারম্যান এবং একাডেমির মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একাডেমি মূলত সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ, গবেষণা পরিচালনা এবং কিছু প্রকল্পের পাইলটিংয়ের কাজে নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, ‘গবেষণাই হবে তাদের মুল কাজ, পাশাপাশি তারা নতুন প্রকল্পের উপযোগিতা মূল্যায়নের লক্ষ্যে ঐসব প্রকল্পের পাইলটিং করবেন’। তিনি বলেন, একাডেমি প্রয়োজনে বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনার পাশাপাশি ডিপ্লোমা, পোস্ট-গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্স অফার করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। নতুন দুটির যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে দেশে পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সংখ্যা চারটি হবে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যশোরে আরেকটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মন্ত্রিসভা আজ জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী নীতি-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
তিনি বলেন, নীতিমালাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ ও ৫৯ ধারা, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলার নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আনা হয়েছে। তিনি জানান, নীতিটির আওতায় সমস্ত স্বেচ্ছাসেবক পরিসেবাগুলি আসবে, যেমন সম্প্রদায় পরিসেবা এবং শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্র, নিঃস্ব, অসমতা এবং বঞ্চিত গোষ্ঠী, পরিবেশবাদী গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, সহযোগিতা গোষ্ঠী, সম্প্রদায় রাজনৈতিক গোষ্ঠী, সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় উৎসব, খেলাধুলা, বিনোদন, কর্পোরেট স্বেচ্ছাসেবক পরিসেবা, প্রাসঙ্গিকতা এবং স্বতঃস্ফূর্ত স্বেচ্ছাসেবক পরিসেবা, জরুরি পরিসেবা, জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অনলাইন স্বেচ্ছাসেবক পরিসেবা ইত্যাদি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদিও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এটি শুরু করেছে, তবে অনেক মন্ত্রণালয়ের এই কাজের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং কাজের বরাদ্দ অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর নেতৃত্ব দেবে।
পলিসি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘ (ইউএন) সরকারকে বলেছে যে, বাংলাদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবক নীতি থাকা উচিত কারণ বাংলাদেশ মূলত স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের অগ্রগামী দেশ। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনেক দেশের নীতিমালা আছে, কিন্তু বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুসংগঠিতভাবে তা পালন করেন এবং এরপর স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম অনেক দেশে সম্প্রসারিত হয়। তিনি বলেন, নীতির কারণে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকরা বাংলাদেশে কাজ করতে পারবে, একইভাবে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পারবে।
তিনি বলেন, র্নিধারিত আলোচনার বাইরে এ দিন মন্ত্রিসভায় রাজধানীর সাম্প্রতিক ডায়রিয়া এবং হাওরে আকস্মিক বন্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকা ওয়াসা বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেও পানির উৎসে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন,‘মানুষ প্রায়ই ওয়াসার প্রধান সরবরাহ পাইপ ছিদ্র করে সংযোগ নিচ্ছে, যা পানিতে ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশের কারণ।’
এছাড়া বিশেষজ্ঞরা প্রধান এলাকায় পানিতে ক্লোরিন ঘাটতি খুঁজে পেয়েছেন এবং এটিও আরেকটি প্রধান কারণ, তবে সমস্যা সমাধানে ওয়াসা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান যে, ডাব্লিউএইচও ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন কলেরা ভ্যাকসিন দেবে এবং যদি কেউ দুটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে, তবে সে তিন বছরের জন্য নিরাপদ থাকবে।
হাওরে বন্যার বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হাওর এলাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে, আর বৃষ্টি না হলে বাকি ধান সহজেই কাটা সম্ভব হবে।