বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » গাজীপুর | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিন সঙ্গীসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিন সঙ্গীসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবালের বেন্টিলি সোয়েটার কারখানায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিন সঙ্গীসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন নামধারী ছাত্রলীগ নেতা রবিন সর্দার (২৬)। গুলিবর্ষণ করে আতংক সৃষ্টির পর কারখানার লোকজন মাইকিং করে লোক জড়ো করে তাকে ধাওয়া করে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পদ-পদবি না থাকলেও ‘ছাত্রলীগ নেতা’ পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে রবিনের রয়েছে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। শরিয়তপুরের গোসাইরহাট থানার মোল্লাকান্দি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে রবিনের নামে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানা ও বাসন থানায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, মারধর, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত তার সহযোগীরা হলেন, শরিয়তপুরের মোল্লাপাড়া এলাকার সিরাজ সরদারের ছেলে শাহীন ওরফে শামীম সরদার (৩২), গাজীপুর মহানগরীর যোগীতলা এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে জোবায়ের আহমেদ হাওলাদার (২১) ও চতর এলাকার আতাউল্লার ছেলে মনির হোসেন (২৬)।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর নগরীর বাঙলা বাজারের জাঙ্গালিয়াপাড়ার ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ পুরাতন লোহা-লক্কর ও ভাঙ্গারি মালামাল আবু হানিফ নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে। জানতে পেরে রবিন ওই ব্যবসায়ীর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। নইলে কারখানা মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়।
বুধবার পুরাতন মালামাল বের করতে কারখানায় যান আবু হানিফ। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১১টা দিকে রবিন সরদার ওই তিন সহযোগীসহ ২০/২৫ জন যুবক নিয়ে পিস্তল হকিস্টিক, দা ও লোহার রড নিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে জোরপূর্বক কারখানায় প্রবেশ করে। তারা আবু হানিফকে মাল নিতে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে রবিন সরদার পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করে আতংক সৃষ্টি করেন এবং নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করে ট্রাক ভর্তি মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে কারখানার শ্রমিকরা এলাকায় মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে চাঁদাবাজদের ওই চারজনকে আটকের পর পুলিশের সোপর্দ করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল জব্ধ করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় কারখানার ম্যানেজার মো. ফজলুল হক বাদি হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করে সদর থানায় দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেছেন।