বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে শীর্ষে রাজস্থান
ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে শীর্ষে রাজস্থান
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৩৯তম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ২৯ রানে হারায় রাজস্থান রয়্যালস। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে সাঞ্জু স্যামসনের দল।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় রাজস্থান। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১৫ রানেই থেমে যায় বিরাট কোহলির দল।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এবারও শুরুটা ভালো করতে পারেননি বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় বলেই ৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর ২৭ রানের জুটি গড়েন ফাফ ডু প্লেসি ও রজত পতিদার। সপ্তম ওভারে ডু প্লেসিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন কুলদীপ সেন। ২৩ রানে বিদায় নেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক। পরের বলেই ম্যাক্সওয়েলকে সাজঘরে ফেরান কুলদীপ। দশম ওভারে পতিদারকে ১৬ রানে ফিরিয়ে আইপিএলে ১৫০তম উইকেট পূর্ণ করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ধুঁকতে থাকা ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। শেষদিকে এসে ১৮ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে কুলদীপের শিকার হয়ে তিনি বিদায় নিলে ভেস্তে যায় ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের স্বপ্ন। ৩ বল বাকি থাকতেই ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন কুলদীপ। অশ্বিন ৩টি ও প্রসিধ কৃষ্ণা ২টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি রাজস্থান। দ্বিতীয় ওভারেই ৭ বলে ৭ রান করে বিদায় নেন ওপেনার দেবদূত পাডিক্কেল। তিনে নেমে দারুণ শুরু করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ১৭ রান তার বিদায়ের পর সাজঘরের পথ ধরেন জস বাটলার। ৯ বলে মাত্র ৮ করে হন জস হ্যাজেলউডের শিকার।
এরপর সাঞ্জু স্যামসনও ইনিংস বড় করতে পারেননি (২৭)। হ্যাজেলউডের দ্বিতীয় শিকার ড্যারিয়েল মিচেল খেলেন ধীরগতির ইনিংস (২৪ বলে ১৬)। ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে রাজস্থান। অবশ্য এক প্রান্তে ব্যাট করে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছেন রিয়ান পরাগ। ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। তার দারুণ ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় রাজস্থান।
ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে মোহাম্মদ সিরাজ, জশ হ্যাজেলউড আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেন দুটি করে উইকেট।