শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | শিরোনাম | সিলেট » রাস্তায় ভ্যান রাখায় চালককে বেত্রাঘাত করলেন মেয়র আরিফ
রাস্তায় ভ্যান রাখায় চালককে বেত্রাঘাত করলেন মেয়র আরিফ
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাকে কখনো দেখা যায় নায়ক হিসেবে আবার কখনো তিনি পরিণত হন খলনায়কে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর থেকে সিলেটের বিভিন্ন জনের ফেসবুক ওয়ালে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে তাকে খলনায়ক হিসেবে দেখা গেছে।
ছবিটিতে দেখা যায়, নগরীর জিন্দাবাজার আল হামরা শপিং সিটির সামনের রাস্তায় এক ভ্যানচালককে বেত্রাঘাত করছেন মেয়র আরিফ। এ নিয়ে ফেসবুকে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নাগরিক সমাজের কেউ কেউ।
জানা যায়, হজরত বিনয় ভদ্র (Hazrat Binoy Bhodroe) নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে শনিবার দুপুরে ছবিসহ একটি পোস্ট করা হয়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
‘একজন নিপীড়ক মেয়র এবং আমাদের বিবেক’ শিরোনামের ফেসবুক পোস্টটিতে লেখা হয়-
‘একজন সিগারেট কোম্পানির কর্মচারী ভ্যান রেখে ডেলিভারি দিতে গেছে পাশের দোকানে। সেই সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল মেয়রের গাড়ি। তাকে দেখে এই ভ্যানচালক ভ্যান সরিয়ে নিতে গেলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাকে হাত পাততে বলেন এবং উনার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে দুটো বাড়ি দেন। একটু সামনেই রাস্তার পাশে একটি প্রাইভেট কার পার্ক করা ছিল, কিন্তু কবি সেখানে নীরব। কী বলব? এই শহরের অনেক রিকশাচালক ও খেটেখাওয়া মানুষের পিঠ খুঁজলে মেয়র আরিফের লাঠির আঘাতের অনেক দাগ খুঁজে পাওয়া যাবে।’
এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেন স্পাইস টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান গোলজার আহমদ। তিনি ভাইরাল হওয়া সেই ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এটা অনুচিত….. সমানুপাতিক হারে আইন প্রয়োগে ব্যর্থ আপনি। প্রতীকী হলেও মানতে নারাজ আমি।’
আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, ‘কাজটি সঠিক নয়।’
এ নিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ফেসবুকে লেখেন, ‘লাঠিয়াল নয়, জনবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করুন। পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র নগরীর পবিত্র চেয়ারের সম্মান হানিকর সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
সরেজমিনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বেত্রাঘাত করা সেই স্থানে গিয়ে জানা যায়, মেয়র আরিফ দুপুরে একটি কোম্পানির ভ্যানচালককে তার গাড়িতে বসে বেত্রাঘাত করেছেন।
এ বিষয়ে সেখানকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেয়রের এই ধরনের আচরণ শিষ্টাচার পরিপন্থি। এ ঘটনার জন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পাশের দোকানের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি একজন নগরপিতা। তার কাছ থেকে রোজার দিনে এই ব্যবহার আমরা আশা করি না।
এ বিষয়ে কথা বলতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।