শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » আইন আদালত | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » যেভাবে ধরা পড়লো ভয়ঙ্কর মাদক ‘আইস’ বিক্রেতা চক্র
যেভাবে ধরা পড়লো ভয়ঙ্কর মাদক ‘আইস’ বিক্রেতা চক্র
খুব গোপনে ভয়ঙ্কর মাদক ‘আইস’ বিক্রি করে আসছিলো চক্রটি। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুসন্ধানের ধরা পড়ে যায় তাদের কর্মকাণ্ড। একটি মোবাইল ফোনের নম্বরের নজদারিতেই প্রকাশ হয় চক্রটির মাদক ব্যবসার বিষয়টি। শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফজলুর রহমান।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় আধাকেজি মেথামফিটামিন মাদক ‘আইস’ বা ‘ক্রিস্টাল মেথ’ এবং ৫ হাজার ইয়াবাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২ জন নারীও রয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রুবায়াত (৩২), রোহিত হোসেন (২৭), মাসুম হান্নান (৪৯), আমানুল্লাহ (৩০), মোহাইমিনুল ইসলাম ইভান (২৯), মুসা উইল বাবর (৩৯), সৈয়দা আনিকা জামান ওরফে অর্পিতা জামান (৩০), লায়লা আফরোজ প্রিয়া (২৬), তানজিম আলী শাহ ও হাসিবুল ইসলাম (২২)।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘এরা মাদক ব্যবসার একটি বড় সিন্ডিকেট। আভিজাত এলাকায় তাদের বিচরণ। প্রত্যেকেই উচ্চবিত্ত শ্রেণির সন্তান অথবা ব্যবসায়ী।’
গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বনশ্রী, বারিধারা, উত্তরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একমাস আগে একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই সিন্ডিকেটের সন্ধান মেলে।’
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘গ্রেপ্তাদের মধ্যে কেউ কেউ কৌতূহল থেকে আইস নামের মাদক সেবন করতে গিয়ে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা ১ গ্রাম আইস ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় কেনাবেচা করত।’
মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ক্যামিস্ট শফিকুল ইসলাম সরকার জানান, ইয়াবার চেয়ে ২০ গুণ বেশি শক্তিশালী ক্রিস্টাল মেথ বা আইস।
৫০০ গ্রাম আইস দিয়ে ১ লাখ ইয়াবা তৈরি করা সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, এখন মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবার চেয়ে আইস নিয়ে আসছে। এটি বহন যেমন সহজ, তেমনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পরিবারের সদস্যদের ফাঁকি দেওয়া সম্ভব।