মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রাজশাহী | শিরোনাম » রাজশাহীর আবাসিক হোটেলে নারী হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
রাজশাহীর আবাসিক হোটেলে নারী হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় আবাসিক হোটেলে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করে প্রেমিক। ঘটনার পরের দিন সোমবার রাতে নাটোরের নিজ বাড়ি থেকে প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার প্রেমিকের নাম মিঠুন আলী। তিনি নাটোর সদর থানার আগদিঘা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ইটভাটার কর্মচারি।
আর হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীর নাম জয়নব বেগম (৪০)। তিনি নাটোর সদর থানার আটঘরিয়া গ্রামের তছির প্রামানিকের মেয়ে। তিনিও ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো। জয়নব স্বামী পরিত্যক্ত।
এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি বলেন, তিন মাস ধরে জয়নব ও মিঠুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে জয়নব বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। এ কারণে বিয়ের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে রাজশাহীর একটি হোটেলে নিয়ে জয়নবকে হত্যা করে মিঠুন। হত্যার আগে তারা শারীরিক মেলামেশা করে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, মিঠুনকে গ্রেপ্তারের সময় তার ঘরে তল্লাশি করে ঘটনার দিন ব্যবহৃত পোষক ও নিহত জযনবের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই তছলেম প্রামানিকের দায়ের করা হত্যা মামলায় মিঠুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত রবিবার রাত ১২টার দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে ড্রীম হ্যাভেন নামের একটি হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশ ধারণা করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।