শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সংযুক্ত আরব আমিরাতের আভিজাত্য স্বর্ণের বাজার!
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আভিজাত্য স্বর্ণের বাজার!
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আভিজাত্যের আরেক নাম দেশটির স্বর্ণের বাজার। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় স্বর্ণবাজার দুবাই ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে বছরের বেশির ভাগ সময়
এ যেন স্বর্ণের এক রাজ্য! মানসম্মত ও নিত্যনতুন ডিজাইনের অলংকার প্রদর্শনী ও বেচাকেনার তীর্থস্থান সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক নগরী দুবাই। তাই গহনা কিনতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশটিতে ছুটে আসেন অনেকেই। গত দুই বছর করোনার কারণে স্বর্ণ ব্যবসায় মন্দাভাব থাকলেও আগের চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে দুবাইয়ের স্বর্ণের বাজার।
মালাবর গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের সেলসম্যান রিপন বলেন, মূলত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত স্বর্ণের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রেতাদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা লোকজন।
সেখানকার আরেক দোকানের এক কর্মচারী বলেন, আধুনিকায়নের যুগে মানুষের ঝোঁক বাড়ছে অ্যারাবিক ট্র্যাডিশনাল ডিজাইনের পাশাপাশি টার্কিশ, বাহরাইনি, স্প্যানিশসহ স্বতন্ত্র ও নান্দনিক ডিজাইনের গহনার প্রতি।
বাংলাদেশি এক ক্রেতা বলেন, এদিকে, জমজমাট বেচাকেনার পাশাপাশি স্বর্ণ চোরাকারবারিদের কর্মকাণ্ড চলে এই বাজার ঘিরে। প্রায়ই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে ধরা পড়ে স্বর্ণের চোরাচালান। এ অবস্থায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধের আহ্বান জানান ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
দুবাইয়ের সোনার বাজারের ইতিহাস ১৯৫৮ সালে শুরু হয়, যখন আরবরা দামাস্কাস থেকে এসে পৌঁছায় এই জনপদে। সে সময় এতসব অট্টালিকা আর উন্নয়নও ছিল না এই অঞ্চলে। মরুভূমির তপ্ত বালিতে আরব বেদুইনরা ঘুরে বেড়িয়ে ব্যবসা খুঁজতেন। এর মধ্যে সিরিয়ার দামেস্ক থেকে একদল আরব ব্যবসা করতে আসেন দুবাইয়ে। তারা সঙ্গে নিয়ে আসেন মানসম্পন্ন কিছু মণি-মুক্তা। আস্তে আস্তে মুক্তার এ বাজার প্রসার লাভ করে। পরে কালের বিবর্তনে এখানে গড়ে ওঠে স্বর্ণের বাজার।
এই স্বর্ণের বাজার শুধু ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, এ অঞ্চলের টুরিজম শিল্পকেও আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে। তাই যে কেউ আমিরাত ঘুরতে এলে দুবাই গোল্ড মার্কেট ঘুরে যাবে এটাই স্বাভাবিক।