সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » দুই পা বাড়ালেই ৫০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা!
দুই পা বাড়ালেই ৫০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা!
রমজানের শুরু থেকেই বেগুনের দাম আকাশচুম্বী। খুচরা বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। অথচ পাইকারি বাজারে বেগুনের কেজি ৪০-৫০ টাকা।
সরজমিন কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক পাল্লা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকায়। এতে কেজিপ্রতি বেগুনের দাম দাঁড়ায় ৪৫-৫০ টাকা। অথচ কারওয়ান বাজার থেকে দুই পা বাড়ালেই রেলওয়ে বাজারে একই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।
একই দৃশ্য দেখা গেছে মিরপুর শাহ আলী পাইকারি বাজারে। সেখানে কেজিপ্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। কিন্তু আধা কিলোমিটার দূরেই মিরপুর-১-এ একই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিদরে।
স্থানীয় ক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচের মিথ্যা দোহাই দিয়ে সবজি ব্যবসায়ীরা মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। অন্যায্যভাবে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে সবজি। এতে বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ।
বাজার থেকে রান্নাঘরে পৌঁছানোর এই পথে কেজিপ্রতি বেগুনের দাম বেড়ে যায় ৫০ টাকা। এই বাড়তি দাম কতটা যুক্তিযুক্ত, সেটিই এখন প্রশ্ন সাধারণ ক্রেতাদের।
রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে আসা একজন ক্রেতা হামিদুজ্জামান জানান, রমজানের আগেও বেগুনের কেজি ছিল ৩০-৫০ টাকা। রোজা শুরুর পর থেকেই বেগুনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-১০০ টাকা। এমন মূল্যবৃদ্ধি একেবারেই অযৌক্তিক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাসখানেক আগেও কৃষকরা বেগুন বিক্রি করেছেন ১০-১২ টাকা কেজি। সেই বেগুন ঢাকা এসে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। এতে কৃষকের ভাগে লাভ পড়ছে ৩০ শতাংশ। বাকি ৭০ শতাংশের বেশি লাভ যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী ও বিক্রেতাদের পকেটে।
এ ব্যাপারে কৃষি বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক গফফার খান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিক মুনাফা লাভের একটি প্রবণতা কাজ করে। এতেতারা প্রায়ই লাগামহীন লাভ করতে চায়। এটি বন্ধ করা প্রয়োজন। আমরা এ ব্যাপারে কাজ করছি।’
শুধু বেগুনই নয়, রমজানের আগে গরুর মাংসের কেজি ছিল ৬০০-৬২০ টাকা। রমজানের শুরুতেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকা। একইভাবে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে এক লাফে হয়েছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা।