সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কর না দেওয়ায় বিতর্কে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কর না দেওয়ায় বিতর্কে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যে ‘নন-ডমিসাইল’ বিতর্ককে আরও মাত্রা দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ব্যাংকে চাকরির সময় দেশের বাইরের আয়ের জন্য যুক্তরাজ্যে কর দিতেন না বলে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। খবর গার্ডিয়ানের।
একজন ব্যাংকার হিসেবে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেও কর দিতেন না যুক্তরাজ্যের সাবেক এ অর্থমন্ত্রী। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার আগে ২০০০ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তিনি ট্যাক্স স্ট্যাটাস পেয়েছেন।
নন-ডমিসাইল বলতে যুক্তরাজ্যের কোনো বাসিন্দা স্থায়ী ঠিকানা দেশটির বাইরে। যে কারণে বিদেশি অর্জিত আয়ের জন্য তিনি কোনো কর দেন না।
২০১০ সালে পার্লামেন্ট সদস্য হন সাজিদ জাভিদ। এ সময়েও দেশের বাইরের আয়ের জন্য তিনি কোনো কর দেননি। এ ছাড়া ডয়চে ব্যাংকে কর্মরত থাকাকালে একটি অফশোর কোম্পানি থেকেও সুবিধা নিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ধনকুবের স্ত্রী অক্ষতা মুর্তির ‘নন-ডমিসাইল’ স্ট্যাটাস নিয়ে দেশটিজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিদেশি আয়ের কর না দেওয়ায় লাখ লাখ পাউন্ড অর্থ তার বেঁচে যায়। পরে ক্ষোভ কমিয়ে আনতে তিনি যুক্তরাজ্যের বাইরে থেকে আয় করা সম্পদেরও কর দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পরিবারসহ মন্ত্রীদের কর দেওয়ার বিবরণ প্রকাশে পার্লামেন্টে একটি আইন উত্থাপন করেছে লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি। যদিও তা আইনে পরিণত হওয়ার সুযোগ খুব একটা নেই বললেই চলে।
সানডে টাইমসকে সাজিদ জাভিদ বলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি ‘নন-ডমিসাইল’ ছিলেন না। অর্থাৎ তখন বিদেশি আয়ের করও যুক্তরাজ্যে দিয়েছেন। যদিও কয়েকটি বছর তিনি নন-ডমিসাইল ছিলেন। কিন্তু তখন তিনি দেশের বাইরে বসবাস করতেন।
তার বাবার জন্ম পাকিস্তানে হওয়ার কারণেই তিনি নন-ডমিসাইল ছিলেন বলে দাবি করেন। কিন্তু পাকিস্তানেও তিনি কর দিয়েছেন কিনা, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।
নিউইয়র্কে চাকরি করার সময় ১৯৯২ তেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কর দিয়েছেন সাজিদ জাভিদ। কিন্তু যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার পর তিনি নিয়মিত করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।