শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | বন্দর | শিরোনাম » লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব শুরু
লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব শুরু
লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব শুরু হবে শুক্রবার। রাত ৯টা ৫৬ মিনিট থেকে উৎসবের লগ্ন শুরু হয়। লগ্ন শেষ হবে শনিবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে।
স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৫ লাখের অধিক পুণ্যার্থী উৎসবে মেতে ওঠবে।
মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নিবেন। লগ্ন শুরুর পরপরই পুণ্যার্থীর ঢল নামবে বলে মনে করা হচ্ছে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
দেবতা পরশুরাম তাঁর পিতার আদেশে নিজ মাতাকে কুঠার দিয়ে আঘাতে হত্যার দায়ে পাপী হয়ে যান এবং তাঁর কুঠারটি হাতে লেগে যায়। পরে পরশুরাম পাপ মোচনের জন্য হিমালয় থেকে নিজ হাতের কুঠারটি লাঙল বানিয়ে চষে পাহাড়-পর্বত দিয়ে বর্তমান লাঙ্গলবন্দ এলাকায় এসে পৌঁছালে তাঁর হাত থেকে সেটি খুলে পড়ে যায়। তখন তিনি ব্রহ্মপুত্র নদের জলে স্নান করেন। এর পর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের লাঙ্গলবন্দ তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিতি পায়। এখন প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে পাপমোচনের বাসনায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পুণ্যার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠেছে লাঙ্গলবন্দে।
এরই মধ্যে স্লানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে নলিত মোহন সাধু ঘাট, নাসিম ওসমান ঘাট, অন্নপূর্ণা ঘাট, রাজঘাট, মাকরী সাধু ঘাট, গান্ধী (শ্মশান) ঘাট, ভদ্রেশ্বরী কালী ঘাট, জয়কালী মন্দির ঘাট, রক্ষাকালী মন্দির ঘাট, পাষাণ কালী মন্দির ঘাট, প্রেমতলা ঘাট, মণি ঋষিপাড়া ঘাট, ব্রহ্ম মন্দির ঘাট, দক্ষিণেশ্বরী ঘাট, পঞ্চপাণ্ডব ঘাট ও পরেশ মহাত্মা আশ্রম ঘাট।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, মেডিকেল সেবা ক্যাম্প, সেবা ক্যাম্পের বিশ্রামাগার, সেবা ক্যাম্পের কার্ত্তন আঙ্গিনা ও প্রসাদ বিতরণের স্থানে সকল প্রস্তুতি শেষ। পুলিশ-প্রশাসনের সদস্যরাও এসে অবস্থান নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জন জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসবে নিরাপত্তার জন্য বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। ৭টি ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে, সেখানে পুলিশ আছে। সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে, ডিবি পুলিশ আছে, ছাদে পুলিশ আছে, অজ্ঞান পার্টি-মলমপার্টি প্রতিরোধে বিশেষ টিম কাজ করছে, নদীতে টহল টিম কাজ করছে। সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এক কথায় পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২ বছর নারায়ণগঞ্জে পুণ্য স্নানোৎসব হয়নি।