শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বিশ্বকাপ বাছাই : লিথুনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইতালি
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বিশ্বকাপ বাছাই : লিথুনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইতালি
২০৯ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বকাপ বাছাই : লিথুনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইতালি

---

ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা ঘরে তোলার পর ইতালি গতকাল প্রথমবারের মত জয়ের মুখ দেখেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ-সি’র ম্যাচে আজ্জুরিরা লিথুনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে আবারো নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমান দিয়েছে। ঘরের মাঠের ম্যাচটিতে জোড়া গোল করেছেন তরুণ স্ট্রাইকার মোয়েস কিন।
প্রথমার্ধে কিন ছাড়াও আরেক অনুর্ধ্ব-২১ স্ট্রাইকার গিয়াকোমো রাসপাডোরি প্রথমার্ধে নিজেকে দারুনভাবে প্রমান করেছেন। দেশের হয়ে এবারই প্রথম মূল একাদশে সুযোগ পাওয়া এই সাসুলোর এ্যাটাকার ২৪ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেছেন। এর আগে কিনের ১১ ও ২৯ মিনিটের দুই গোলের মাঝে এডগারাস উতকাসের আত্মঘাতি গোলে প্রথমার্ধেই ইতালি ৪-০ গোলের লিড পায়।
ম্যাচ শেষে ইতালিয়ান কোচ রবার্তো মানচিনি বলেছেন, ‘সবকিছুই এসব তরুণ খেলোয়াড়দের মাথায় ও পায়ে আছে। তারা যদি নিজেদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে এবং গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে তবে তাদের ভবিষ্যত বেশ উজ্জ্বল। এখন সবকিছুই তাদের উপর নির্ভর করছে।’
আগের দুই ম্যাচে বুলগেরিয়া ও সুইজারল্যান্ডের সাথে ড্র করে পয়েন্ট হারানো ইতালি এই প্রথমবারের মত বাছাইপর্বে ২০ মিনিচের মধ্যে চার গোল দিল। জিওভান্নি ডি লোরেঞ্জোর ৫৪ মিনিটের গোলে ইতালির বড় জয় নিশ্চিত হয়। এর মাধ্যমে টানা ৩৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি আরো সমৃদ্ধ করলো মানচিনি শিষ্যরা।
মানচিনি আরো বলেন, ‘এই খেলোয়াড়রা আজ মাঠে দারুন খেলেছে। গত কয়েবদিন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে হারানোর পরেও মনোবল ভেঙ্গে পড়েনি। এক ম্যাচে পাঁচ/ছয় গোল করা মোটেই সহজ কাজ নয়।’
৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ইতালি গ্রুপ-সি’র শীর্ষে অবস্থান করছে। নর্দান আয়ারল্যান্ডের সাথে গোলশুন্য ড্র করা সুইজারল্যান্ড ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোন পয়েন্ট সংগ্রহ না করা লিথুনিয়ার অবস্থান টেবিলের তলানিতে।
আগের দুই ম্যাচে মাত্র এক গোল করার পর ইতালির আক্রমনভাগের পরিবর্তনটা অনুমেয় ছিল। মানচিনিও আগের ম্যাচে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। যে কারনে কাল আটটি পরিবর্তন করে কিন ও রাসপাডোরিকে নিয়ে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন। আর সুযোগ পেয়েই কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এই তরুণ তুর্কিরা। ১১ মিনিটে কিনের গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। এর চার মিনিট পর রাসপাডোরির শক্তিশালী শট ডিফ্লেকটেড হয়ে উতকাসের গায়ে লেগে জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। নিজের হোম গ্রাউন্ড মাপেই স্টেডিয়ামে খেলা রাসপাডোরি চেনা পরিবেশে খেলার সুযোগটি পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন। ২৪ মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে সহজ ফিনিশিংয়ে তার গোলেই ৩-০ ব্যবধানের লিড নেয় ইতালি। ২৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি পূরণ করেন কিন।
বিরতির পর আরো বেশী আক্রমনাত্মক হয়ে খেলা শুরু করে ইতালি। তারই ধারাবাহিকতায় রাসপাডোরি নিজের দ্বিতীয় গোল পূরণ করলেও অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে ৫৪ মিনিটে ডি লোরেঞ্জো আর ভুল করেননি।



আর্কাইভ