বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » ফের হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ফের হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বুধবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শারীরিক পরীক্ষার জন্য বুধবার দুপুর ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে। তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ তারিখ রমজান শুরুর পর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লে মঙ্গলবার রাত ১০টায় তার বাসভবনে আসেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। এসময় তার বেশকিছু বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া জরুরি বলে জানায় চিকিৎসকরা।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ৮১ দিন পর এভারকেয়ার হাসপাতাল ছাড়েন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে তাকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নেওয়া হয়।
গত বছরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও দুই দফায় বেগম জিয়াকে হাসপাতালে যেতে হয়। এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৩ মার্চ দুপুরে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে গত ১৬ মার্চ গণমাধ্যমকে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ওইদিন তিনি বলেন, আগের শর্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এ সংক্রান্ত আবেদন করেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে গত সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। মুক্তিতে থাকার সময় খালেদা জিয়াকে শর্ত দেওয়া হয়- নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
ওই মুক্তির মেয়াদ ২৫ মার্চ শেষ হয়। এ জন্য ১ মার্চ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার।
এরপর ২ বছর ১ মাস ১৭ দিন সাজাভোগের পর পরিবারের আবেদনে সরকার মানবিক দিক বিবেচনায় তার সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি দেয়। এরপর কয়েকদফা বৃদ্ধি করা হয় তার মুক্তির মেয়াদ।