সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইইউর রাশিয়ান গ্যাস নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করা উচিত: জার্মানি
ইইউর রাশিয়ান গ্যাস নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করা উচিত: জার্মানি
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের এক মাসের বেশি পার হয়েছে। এর মধ্যে বহু শহর ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের কাছে বুচা শহরে পাওয়া গিয়েছে লাশের সারি। রোববার জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা কিয়েভের কাছে নৃশংসতার জন্য রাশিয়ান বাহিনীকে অভিযুক্ত করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অবশ্যই রাশিয়ান গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় গ্যাসের চালান আসে রাশিয়া থেকে। ইউরোপের গ্যাস চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে রাশিয়া। এক সাক্ষাৎকারে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই প্রতিক্রিয়া থাকা উচিত। এ ধরনের অপরাধের উত্তর দেওয়া উচিত নয়। বার্লিন এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে শক্তি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানকে প্রতিহত করেছে এবং বলেছে, এর অর্থনীতি ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের ওপর খুব নির্ভরশীল।’
জার্মান অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক রোববার সন্ধ্যায় বলেন, ‘জার্মানি রাশিয়ান শক্তির ওপর তার নির্ভরতা হ্রাস করছে; কিন্তু আমাদের পুরোপুরি বের হয়ে আসা সম্ভব নয়। তবে সরকারের ভেতর এ নিয়ে চাপ বাড়ছে।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখট বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীদের এখন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী কিছুদিনের জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করছে, তবে অর্থনৈতিক কমিশনার পাওলো জেন্টিলোনি শনিবার বলেছেন, যেকোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপ জ্বালানি খাতে প্রভাব ফেলবে না।
এদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ রোববার গভীর রাতে বলেছেন, পশ্চিমা মিত্ররা আগামী দিনে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে রাজি হবে।
ইউক্রেন শনিবার বলেছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তাদের ওপর আক্রমণ শুরু করার পর তারা প্রথমবারের মতো কিয়েভ অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রাজধানী থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি মুক্ত শহর বুচার মেয়র বলেছেন, এখানকার শত শত বাসিন্দা রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাশে ছেয়ে গেছে রাস্তা, এক গণকবরে ২৮০ মরদেহ
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বুচায় মৃতদেহ দেখানো ফুটেজ ও ছবি কিয়েভের। শলজ এক বিবৃতিতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।