শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » রপ্তানি পণ্য হিসাবে সিরামিক খুবই সম্ভাবনাময় - বাণিজ্যমন্ত্রী
রপ্তানি পণ্য হিসাবে সিরামিক খুবই সম্ভাবনাময় - বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বাংলাদেশের সিরামিক পণ্যের বিশ্ব বাজারে বিপুল চাহিদা রয়েছে। সম্ভাবনাময় সিরামিক পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের রপ্তানির ৮২ ভাগের বেশি আসে তৈরিপোশাক খাত থেকে। তৈরিপোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ খাতকে বর্তমান অবস্থানে আসতে অনেক প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার তৈরিপোশাকের পাশাপাশি সিরামিক পণ্য, পাট পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি পণ্য, মেডিকেল পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর তিনি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যকে প্রোডাক্ট অভ্ দ্য ইয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সিরামিক পণ্য বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়। দেশে এখন প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান সিরামিক পণ্য তৈরি করছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিপুল চাহিদা মিটিয়ে সিরামিক পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। একসময় দেশের চাহিদা মিটাতে সিরামিক পণ্য ব্যাপকভাবে আমদানি করতে হতো। এখন বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য ব্যবহার করছে। তারা বাংলাদেশের এসকল পণ্যের প্রশংসা করছে। বিশ্বে সিরামিক পণ্যের বড় বাজার রয়েছে, আমাদের এ বাজার ধরতে হবে। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য তুলে ধরতে হবে। এ জন্য যা করা প্রয়োজন সরকার তা গুরুত্বের সাথে করবে। এজন্য ব্যবসায়ী মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকার প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত “বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরিপ্রেক্ষিতে সিরামিক শিল্পের সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে ২০২৬ সালে। এর পর আরও তিন বছর এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করার সুযোগ পারে। এরপর বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে বিশ্ববাণিজ্য করতে হবে। বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ বা পিটিএ এর মতো চুক্তি স্বাক্ষর করে রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সাময়িকভাবে আমাদের জন্য কিছু ক্ষতিকর হলেও দীর্ঘমেয়াদে আমরা এতে বেশি লাভবান হবো। এজন্য এখন থেকে বিদেশি দক্ষ জনবলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সবিচ) মোঃ আফজাল হোসেন, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃঞ্চ সাহা, এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ।