শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সোনার বাংলা গড়তে দেশের সব সেক্টর একযোগে কাজ করছে
সোনার বাংলা গড়তে দেশের সব সেক্টর একযোগে কাজ করছে
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য দেশের সব সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
এখন উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, এরই অংশীদার হিসেবে শিপিং সেক্টরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই এ সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের ২৩তম ব্যাচ ও মাদারীপুর শাখার ১২তম ব্যাচ প্রশিক্ষণার্থী রেটিংসদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, উপমহাদেশের প্রাচীনতম এই ট্রেনিং ইন্সটিটিউটকে মেরিটাইম কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র করতে সরকার সম্প্রতি ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটে সিমুলেটর বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। যার মধ্যে ব্রিজ সিমুলেটর, ইঞ্জিন সিমুলেটর এবং হাই ভোল্টেজ সিমুলেটর স্থাপন করা হয়েছে। ওই সিমুলেটরের মাধ্যমে অফিসার ও রেটিংসদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ সেক্টরের দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণে মাদারীপুর শাখার নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্প হস্তান্তর করা হবে। সেখানে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ২টি ব্যাচে প্রতি বছর ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, কুড়িগ্রাম শাখা স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেম বুকে ধারণ করে সততা, আন্তরিকতার সঙ্গে জাহাজে দায়িত্ব পালন করবে। যাতে করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থাকে। তোমাদের ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ আক্রান্ত হয়েছিল। সেখানে আমাদের একজন নাবিক শহিদ হয়েছেন। সরকারের দক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে অন্য জীবিত নাবিকদের দেশে ফেরত আনতে পেরেছি। যিনি মারা গেছেন তার লাশও দেশে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সফল কূটনীতিক তৎপরতার কারণে এ কাজটি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজকে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, এরকম একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের নাবিকরা তাদের মনোবল হারায়নি। তারা যে সাহসিকতার সঙ্গে ফিরে এসেছে তা সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশর ভূমিকাও প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সমুদ্রে আমাদের অধিকার ছিল না। বর্তমানে সমুদ্রে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেটিংসদের মধ্যে হতে বহু সংখ্যক নাবিক কমপিটেন্সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের ক্যাপ্টেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, চিফ অফিসার, সেকেন্ড অফিসার, ৩য় শ্রেণির ডেক ও ইঞ্জিনিয়ার অফিসার এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে দক্ষতার সঙ্গে চাকরি করে আসছেন।
ওই প্রশিক্ষণ কোর্সে ১২৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সৌজন্যে দেওয়া গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন অল রাউন্ড রেটিং ইমতিয়াজুল হক এবং মেসার্স হক অ্যান্ড সন্স লি. এর সৌজন্যে দেওয়া বেস্ট গ্রাউন্ড রেটিং মেডেল প্রাপ্ত হন প্যারেড কমান্ডার ইসতিয়াক ইরফান জিহাদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান। এসময় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিনসহ দেশের সামরিক-বেসামরিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, দেশি ও বিদেশি জাহাজ মালিক এবং এজেন্টদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।