শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১

N2N Online TV
বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে -বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে -বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
১৬১ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে -বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

---

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, আমদানিতব্য জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি আগামী দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কয়েকটি প্রকল্পে ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

আজ “কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার ঘিরে যে উন্নয়ন তৎপরতা পরিচালনা করছেন; তার অংশ এই বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প। দেশের বৃহত্তম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র এটি। আরো বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আসছে। কক্সবাজার পর্যটন নগরীর পাশাপাশি শিল্প নগরীতে পরিণত হতে যাচ্ছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, কয়লা টার্মিনাল, এলপিজি টার্মিনাল, ইন্সুলেশন অভ্‌ সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন, সোলার মিনি গ্রিড, বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রভৃতি কক্সবাজারের চিত্র পাল্টে দিবে, পরিণত করবে সমৃদ্ধ নগরীতে। বিপুল কর্মসংস্থান সৃজনের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান আরো বাড়বে।

কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশের সর্ব প্রথম বৃহৎ আকারের গ্রিড সংযুক্ত বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্পটির মোট বিনিয়োগ ১১৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ প্রকল্পে ১২০মিটার উচ্চতায় এনভিশনের EN156 মডেলের ২২ টি টারবাইন স্থাপন করা হবে, প্রতিটি টারবাইনের উৎপাদন ক্ষমতা ৩.০ মেগাওয়াট এবং রোটরের ব্যাস ১৫৬ মিটার। আইপিপি মডেলে বাস্তবায়িতব্য প্রকল্পটিতে আইপিপি হিসেবে কাজ করছে US-DK green energy (BD) Ltd। ২০২২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ
প্রকল্পটির সিওডি হবে ।

পরে প্রতিমন্ত্রী কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় ‘Site-Specific Wind
Resource Assessment Project of SREDA’ শীর্ষক Wind Resource Assessment
প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। একটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রধান ও
পূর্বশর্ত হচ্ছে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাই বা উইন্ড রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট।
এরই প্রেক্ষিতে স্রেডা কর্তৃক ভোলা জেলার চরফ্যাশন ও তজুমুদ্দিন এবং কক্সবাজার
জেলার পেকুয়ায় তিনটি মেট টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে যার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো
বিদ্যুৎ বিভাগ বায়ুবিদ্যুৎ বিষয়ে নিজস্ব কারিগরি সক্ষমতায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন
শুরু করেছে। ইতিপূর্বে ৯টি স্থানে বায়ুবিদ্যুৎ তথ্যাদি আরোহণ করে বাংলাদেশে উইন্ড
ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য সাইমুম
সরওয়ার কমল, বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ
আলাউদ্দিন, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক
মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।



আর্কাইভ