শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ‘আখাউড়া হবে আধুনিক স্থলবন্দর’
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ‘আখাউড়া হবে আধুনিক স্থলবন্দর’
১২৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

‘আখাউড়া হবে আধুনিক স্থলবন্দর’

---

শতকোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরকে আধুনিক স্থলবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরসহ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে তারা স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন।

এ সময় তাকে স্থলবন্দরে স্বাগত জানান আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমানসহ কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।

পরে তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, ‘আখাউড়া স্থলবন্দরকে আরও উন্নত স্থলবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আমরা এডিপি থেকে ২১৭ কোটি টাকার অর্থায়ন পেয়েছি। আমরা আখাউড়া স্থলবন্দরে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করব।’

তিনি বলেন, ‘বেনাপোলের পর এই বন্দর দিয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। যাত্রীরা যেন সহজভাবে কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এদিকে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীদের টার্মিনাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান আছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। ভারতও তাদের শূন্যরেখার পাশে টার্মিনাল তৈরির কাজ করছে। তা ছাড়া এই দিকে ফোরলেন হচ্ছে। ফোর লেন রাস্তা আর আমাদের যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ হলে আগামী দুই বছর পর আর কোনো সমস্যা থাকবে না। আপাতত ছোট ছোট সমস্যাগুলো আমরা দেখে যাচ্ছি। সেগুলা সমাধানের চেষ্টা করব। বিশেষ করে স্থলবন্দরে ছোট ছোট গাড়ি দিয়ে যাত্রীদের সেবা দেওয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।’

নতুন যে স্থলবন্দরগুলো হচ্ছে সেগুলার মতো এখানেও মাল্টি এজেন্সি সার্ভিস সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে একই ভবনের ভেতরে সব ধরনের সুবিধা যাত্রীরা পাবে। সেই ভবন তৈরি করা হবে। যাতে যাত্রীরা সেবা নিয়ে সহজেই যাতায়াত করতে পারে বলে জানান চেয়ারম্যান।

তিনি আরও জানান, ১৯৭৫ সালের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের ভেতর যে বিধিমালা ছিল সেখানে বলা আছে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না। তবে পরবর্তীতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি চুক্তির মাধ্যমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ চাইলে সেখানে কাজ করতে পারে। সেক্ষেত্রে দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই একে অপরকে জানিয়ে রাখতে হবে। যেহেতু বেনাপোলের পরে আখাউড়া স্থলবন্দরের গুরুত্ব অনেক বেশি, তাই আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মানুষ অনেক বেশি সুফল পাবে এবং যাত্রী পারাপার আরও বাড়বে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. কবীর খান, স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী, ইমিগ্রেশন অফিসার আবু বক্করসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।



আর্কাইভ