বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
অ্যালিসা হিলির দুর্দান্ত শতক ও তার ওপেনিং পার্টনার র্যাচেল হায়নেসের দারুণ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছিল ৩ উইকেটে ৩০৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট কর্যতে নেমে চাপের মুখে ভেঙে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৮ রানে। তাতে ২০২২, আইসিসি প্রমীলা বিশ্বকাপে প্রথন দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল।
সেমিফাইনালের আগে জোড়া দুঃসংবাদ পায় অস্ট্রেলিয়া দল। ইনজুরিতে সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন না অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার অলরাউন্ডার অ্যালিসা পেরি। দ্বিতীয় দুঃসংবাদ হলো, ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান হারিয়েছেন মেগ ল্যানিং।
তবে মাঠে বরাবরের মতোই দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়া। মাঠের বাইরের কোনো ঘটনাই তাদের ছুঁতে পারে না। তাই তো ওয়েলিংটনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই খেলেছে স্মার্ট ক্রিকেট। দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও র্যাচেল হায়নেস ধীরে সুস্থে শুরু করেন ইনিংস। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন হিলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন লাইন লেন্থের সুবিধা নিয়ে চড়াও হন তিনি। হিলি প্রথম অর্ধশতক পূরণ করেন ৬৩ বলে।
অর্ধশতক পূরণের পর হিলি ব্যাট চালিয়েছেন খাপখোলা তরবারির মতন। ৫০ থেকে শতক পূরণ করতে হিলি খরচ করেছেন মাত্র ২৮ বলে। ১৭ চার ও এক ছক্কায় ১২৯ রান করেন তিনি। পার্টনার হায়নেসকে সঙ্গে নিয়ে ৩২ ওভার ৪ বলে ২১৬ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন হিলি। বিশ্বকাপে যে কোন উইকেট পার্টনারশিপে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগের রেকর্ডটিতেও ছিলেন হায়নেস। মেগ ল্যানিং ও র্যাচেল হায়নেস মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
অবশ্য এই বিশাল জুটির পেছনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডারদের ‘মাখন-কোমল’ হাতের দায়ও কম নয়। হিলি যখন ৫ রানে ব্যাট করছেন তখন তার ক্যাচ ছেড়ে দেন চিনেলি হেনরি। এরপরও কয়েকবার সুযোগ দিয়ে বেঁচে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা।
কিছু সময় পর হিলির দেখানো পথ ধরে হায়নেসও সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ২৩১ রানের মাথায় হেনরির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮৫ রান করা হায়নেস। এরপর হেনরির বলে দ্রুত আউট হয়ে যান ১২ রান করা গার্ডনার।
এদিন পাওয়ারপ্লের ঠিক পরেই বৃষ্টি এলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে দাঁড়ায় ৪৫ ওভারে। তবুও অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ৩০০ পেরোয় বেথ মুনির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। ৩১ বলে ৩ চারে ৪৩ রান করেন মুনি। সদ্যই র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান হারানো মেগ ল্যানিং অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ২৬ রান করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে চিনেলি হেনরি ৯ ওভার বল করে ৫১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অপর উইকেটটি পান সামিলিয়া কনেল।
৩০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনারকে। এর পর ৪৭ রানের জুটিতে ইনিংস ধস ঠেকাতে চেষ্টা করেন ম্যাথিউস ও স্টেফানি টেইলরস। ৩৪ রান করেন হ্যালি ম্যাথিউস। অধিনায়ক স্টেফানি টেইলরস করেন সর্বোচ্চ ৪৮ রান। এ ছাড়া ওপেনার ডুট্টন ৩৪ রান করেন। নিয়মিত যাওয়া-আসার মধ্যে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ইনজুরিতে পড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাট করতে পারেননি মোহামেদ। অসুস্থবোধ করায় নামেননি হেনরি। তাতে ১৪৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান জেস জোনাসেন।