সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » মন্ত্রিসভায় ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন
মন্ত্রিসভায় ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন
বিদ্রোহের চেষ্টা, অংশগ্রহণ বা অনুরূপ ষড়যন্ত্রে উসকানি দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আজ মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ বিদ্রোহের চেষ্টা করে, উসকানি দেয় বা ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তাহলে তাকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো সদস্য অপরাধ করলে দুই ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য দুটি পৃথক আদালত থাকবে– সামারি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত এবং বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত। সামারি আদালত সাধারণ অপরাধ এবং অসদাচরণের বিচার করবে, আর বিশেষ আদালত গুরুতর অপরাধের বিচার করবে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনাল’ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে তিন বছরের জেল। খসড়া আইনে আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। জননিরাপত্তা বিভাগ ১৯৯৫ সালের বিদ্যমান আইন সংশোধন না করে, একটি নতুন আইন তৈরি করেছে কারণ এখানে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
এছাড়া সভায় দেশে আরেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যায়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- প্রতিষ্ঠানটিতে বিজনেস ইনকিউবেটর ও প্রফেশনাল কোর্স থাকবে।
আইসিটি-ভিত্তিক উদ্ভাবনের প্রচারের জন্য একটি সংস্থা রাখার জন্য আইসিটি বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এ২আই) অ্যাক্ট, ২০২২’ এর খসড়াটি নীতিগতভাবে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। খসড়া আইন অনুযায়ী, সংস্থাটি পরিচালনার জন্য মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে।
বৈঠকটি ২০০৯ সালে কপ-৪ (কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিজ-৪) থেকে ২০১৯-এ কপ-৯ পর্যন্ত পিওপি সংক্রান্ত স্টকহোম কনভেনশনের অধীনে গৃহীত ১৮টি স্থায়ী জৈব দূষণকারী (পিওপি) সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন করে।
স্টকহোম কনভেনশন অন পারসিসটেন্ট অর্গানিক পলুট্যান্টস ২০০১ সালের একটি বৈশ্বিক চুক্তি, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মানুষের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছিল।