রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতকরা ৬৮ শতাংশ
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতকরা ৬৮ শতাংশ
শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহ কর্তৃক ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৬৮ ভাগ যা জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন অগ্রগতির তুলনায় বেশি।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ পর্যালোচনা সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩৪টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ০২টি কারিগরি সহায়তা এবং ০১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে ১ হাজার ৫২২ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ২ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৯১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর অনুকূলে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ধীর গতিতে চলছে। কৃষকের দোরগোড়ায় সার সরবরাহ পৌঁছে দিতে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। আমদানিকৃত সার সঠিক সময়ের গুদামজাত ও বিতরণ হচ্ছে কী-না তার হিসাব রাখতে হবে। তিনি বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সম্পর্কে বলেন, এটি একটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। বিসিকের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিরসন করে বিসিক শিল্পনগরীকে এগিয়ে নিতে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে যেতে হলে নতুন নতুন শিল্পায়ন গড়ে তুলতে হবে। যেসব প্রকল্প এলাকায় প্রকল্প পরিচালকরা থাকেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানদেরও প্রকল্প কাজ তদারকি করতে হবে। তিনি প্রকল্প কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সকলের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সাথে প্রতিপালনের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে আলোকে আমরা যার যার অবস্থান থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ কোনো ক্রমেই বাড়ানো যাবে না। যথাসময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পাদন করতে হবে এবং কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের যে সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করত হবে।