বুড়িগঙ্গায় যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন
রাজধানীর সদরঘাটে টার্মিনালে নোঙর করা অবস্থায় এ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আজ সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে টার্মিনালের ৩ নং পল্টুনে নোঙর করা অবস্থায় লঞ্চটির দ্বিতীয় তলার ভিআইপি কেবিন থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে পরে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ২ ঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডে লঞ্চের দ্বিতীয় তলার সবগুলোসহ তৃতীয় তলার বেশ কয়েকটি কেবিন পুড়ে গেলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
লঞ্চের কেরানী আব্দুস সালাম জানান, সকালে যাত্রী নামানোর পরে আমরা ধোয়া-মোছার কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই ধোয়া দেখতে পাই দ্বিতীয় তলায়। সম্ভবত কেন্টিন থেকে আগুনটা লেগেছে। এর মধ্যে মুহুর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায় ও তৃতীয় তলায়। লঞ্চটির কেবিনগুলোতে কাঠের জিনিসপত্র ও তুলা বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় লঞ্চটির দুইতলা ও তিন তলার সব কিছু পুড়ে গেছে। তবে কোন স্টাফ বা অন্য কেও হতাহত হয়নি।
সদরঘাট নৌ-পুলিশের এসআই মো. শহিদুল আলম জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় আমরা খবর পাই লঞ্চে আগুন লেগেছে। সাথে-সাথে ঘটনা স্থলে এসে দেখি লঞ্চে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে স্থানীয়রা সহযোগীতা করে ১ টার সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (প্রশা. ও অর্থ) মো. ওহিদুল ইসলাম জানান, সকাল ১০ টা ৫২ মিনিটে আমরা আগুনের খবর জানতে পারি, ১০ টা ৫৬ মিনিটে আমরা ঘটানাস্থলে আসি। আমাদের ৭ টি ইউনিটের ৯৯ জন কর্মী আগুন নিভাতে কাজ করে। বেলা ১ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পরে অগ্নিকান্ডের আসল কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সিপ সার্ভে) মো. মাহাবুব হোসেন জানান, দ্বিতীয় তলার ভিআইপি কেবিন থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হয়তো বা এসির গ্যাস লাইন, কিংবা অন্য কিছু থেকেও আগুন লাগতে পারে।
বিআইডব্লিউটি’র যুগ্ন পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ) সেলিম রেজা বাসসকে বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিআইডব্লিউটি’র পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটি নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত শেষে অগ্নিকান্ডের কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।