শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ভিয়েতনামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
ভিয়েতনামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫১ তম বছরে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ পালনের প্রথম পর্যায়ে দূতাবাসে ভোরে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে জাতীয় দিবসের সূচনা করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সপরিবারে এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী ও স্থানীয় অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
পরে দূতাবাসে এক বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিতা মা-বোন, জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ এর দ্বিতীয় পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক এক বিশেষ উদযাপন অনুষ্ঠান, আলোচনা, সংম্বর্ধনা এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধুুর নেতৃত্বে ও অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা মুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞচিত্তে আরো স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা সহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে অত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবন এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগের কথা। আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতসহ বিদেশী বন্ধুদের প্রতি যারা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।
প্রধান অতিথি সিনিয়র ডেপুটি মিনিস্টার নুয়েন মিন ভু তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন যে, বঙ্গবন্ধু আজকের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করেন। তিনি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ এ ভিয়েতনাম সরকারের বিশেষ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। আশা করে বলেন, বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, পিপল টু পিপল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২৩-এ যৌথভাবে বিশেষ আয়োজন করা হবে।