শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » কর ফেরতের পরিবর্তে বিলোপের সুপারিশ
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » কর ফেরতের পরিবর্তে বিলোপের সুপারিশ
১৩৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কর ফেরতের পরিবর্তে বিলোপের সুপারিশ

---

ব্যবসায়ে অহেতুক খরচ ও সময় কমানোর জন্য রফতানি খাতসহ সব শিল্প খাতে উৎসে কর ও আগাম কর ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে পুরো বিলোপের সুপারিশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মৌলিক বাজেট প্রস্তাব পরামর্শক সভায় এফবিসিসিআই জমি ক্রয়, নির্মাণ, পরিষেবার বিলসহ যাবতীয় সব সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহারের প্রস্তাব করবে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ সভার যৌথ আয়োজক অর্থ মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআই। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এ ছাড়া এফবিসিসিআই অতিক্ষুদ্র ও কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি (সিএমএসএমই) ও বৃহৎ শিল্পের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সংগঠনটি অতিক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে আট বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দিতে সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে।

অন্যদিকে যেসব ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার তথা লেনদেন ৫০ কোটি টাকার নিচে, সেগুলোর মূসক হার ৩ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা এবং এসব প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কহার ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

বার্ষিক লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে, এমন মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মূসক হার ৪ থেকে ৬ শতাংশ এবং এসব প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতির শুল্কহার ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব করেছে এফবিসিসিআই।

আর ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়, এমন ধরনের বড় প্রতিষ্ঠানের সব কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতিতে শুল্কহার ১ থেকে ৩ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এর সঙ্গে সঙ্গে অনুন্নত এলাকায় শিল্পকারখানা করলে উদ্যোক্তাদের প্রথম আট বছর কর সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা।

ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠনটি আমদানি পর্যায়ে শুল্কস্তর পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দিয়েছে। তৈরি পণ্যে ২৫ শতাংশ; দেশে উৎপাদিত হয় এমন যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও মধ্যবর্তী কাঁচামালে ৭ থেকে ১০ শতাংশ; মৌলিক ও দেশে উৎপাদিত হয় না এমন মধ্যবর্তী কাঁচামালে ১ থেকে ৩ শতাংশ এবং শিল্প খাতের যন্ত্রপাতি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করার কথা বলেছে এফবিসিসিআই।

এ ছাড়া এফবিসিসিআই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কাজে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও কর পরিশোধের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কর নিবন্ধনের বিভিন্ন দলিলকে বিনিয়োগ দলিল হিসেবে বিবেচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে।



আর্কাইভ