মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » পুলিশ অ্যাভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন চার এএসপি
পুলিশ অ্যাভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন চার এএসপি
পুলিশের অ্যাভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন ৪ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)। এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, অ্যাভিয়েশন উইং চালুর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে।
সোমবার (২১ মার্চ) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আর্মি অ্যাভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসিনুল বাকী এনডিসির নেতৃত্বে আর্মি অ্যাভিয়েশন স্কুলের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত অ্যাভিয়েশন উইং দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাভিয়েশন উইং চালুর অনুমতি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বেনজীর বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত অ্যাভিয়েশন উইং দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত অ্যাভিয়েশন উইংয়ের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্মি অ্যাভিয়েশন স্কুল বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ করে সেনাবাহিনীর পেশাগত সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা রয়েছে।’ আগামীতে এ ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে এবং সুসংহত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আইজিপি বলেন, ‘দেশের যে কোনো প্রয়োজন ও সংকটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।’
নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সঙ্গে তুলনা করে আইজিপি বলেন, ‘অক্সিজেন ছাড়া যেমন কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি নিরাপত্তা ছাড়া একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রয়েছেন।’ দেশের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে যখন যা করা দরকার তাই করা হবে বলে তিনি দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আর্মি অ্যাভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহ, আন্তরিকতা নিয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। তারা যোগ্য পাইলট হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।’
আর্মি অ্যাভিয়েশন স্কুলে অ্যাভিয়েশন বেসিক কোর্সে বর্তমানে বিভিন্ন বাহিনীর ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার।
তারা হলেন, মো. সারোয়ার হোসেন, মো. মুশফিকুল হক, ফাতেমা তুজ জোহরা ও মো. আবুল হোসেন। পুলিশের ৪ জন প্রশিক্ষণার্থীই ইতোমধ্যে তাদের একক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তারা পাইলট হিসেবে পুলিশের অ্যাভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিআইজি (লজিস্টিকস) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে অনুভূতি জানান জানান সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা তুজ জোহরা।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিরা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাভিয়েশন উইংয়ের জন্য রাশিয়া থেকে দুটি আধুনিক হেলিকপ্টার ক্রয় বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।