রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | বরিশাল | শিরোনাম » দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর চেষ্টা করে যাবেন প্রধানমন্ত্রী - পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর চেষ্টা করে যাবেন প্রধানমন্ত্রী - পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,তার সরকার যতদিন থাকবে ততদিন তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর চেষ্টা করে যাবেন। তাদের কথা চিন্তা করেন বিধায় রমজান মাস আসার আগেই বিপুল সংখ্যক পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের আওতায় এনেছেন। অতীতে কোন সরকার এ চিন্তা করেনি। এটাই শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা চিন্তা করেন। আর তিনি দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করেন দেখেই করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা দিয়ে মানুষকে সহায়তা করেছেন।তিনি সবসময় গণভবনে বসে কিভাবে সাধারণ মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানে যায়,কিভাবে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায় তা ভাবেন।
আজ(রোববার) বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দিচ্ছেন। যারমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯০ হাজারসহ গোটা জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৯২১ টি পরিবার রয়েছে। বরিশাল জেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ২৭০ পরিবার আর এই রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৭২ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে। যদিও এখন প্রথম পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে, রমজান মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আবারও দেয়া হবে। যাদের ভিজিডি কার্ড রয়েছে, যারা করোনাকালীন সময়ে আড়াইহাজার করে টাকা পেয়েছেন তাদেরকে এই খাদ্য সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
উপকার ভোগীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন,যে কার্ডটি আপনাদের দেয়া হয়েছে, সেটি কোন অবস্থাতেই কাউকে দিবেন না এবং হারিয়ে ফেলবেন না। এটা মূল্যবান সম্পদ হিসেবে আগলিয়ে রাখবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার ব্যপকতার সময় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রনোদনার মাধ্যমে খেটে খাওয়া, অসহায়-দুঃখী মানুষদের আর্থিক সহায়তা, ত্রাণ সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছেন। সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন ক্রয় করেছেন। এটা শুনতেও আশ্চর্য লাগে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন কেনার মতো সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে গোটা পৃথিবীতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য, তেলের মূল্যসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার আঘাত আমাদের ওপরে আসে অর্থনৈতিকভাবে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রণোদনাগুলো দিয়ে যাচ্ছেন। কোন প্রনোদনার এখন পর্যন্ত ঘাটতি হয়নি এবং বন্ধও করেননি তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করার আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী। তার দীর্ঘায়ুর জন্য দেয়া চান যেন তিনি সাধারণ মানুষকে সাহায়তা করে যেতে পারেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা,কষ্ট লাঘবে কাজ করে যেতে পারেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যারা লাইনে দাড়াতে পারে না, সবার সম্মুখে হাত পাততে পারেন না। কিন্তু বিপদে রয়েছেন,তাদের জন্য একটি মোবাইল নম্বর চালু করা হবে। তারা সেই নম্বরে ফোন দিলে আমার পক্ষ থেকে তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, বিসিসি’র ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু।