রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | বন্দর | শিরোনাম » ‘এমভি রুপসি-৯’ আটক, নেওয়া হয়েছে গজারিয়া নৌ থানায়
‘এমভি রুপসি-৯’ আটক, নেওয়া হয়েছে গজারিয়া নৌ থানায়
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় ‘এমভি রুপসি-৯’ নামের কার্গো জাহাজটিকে আটক করা হয়েছে। রবিবার বিকালে কার্গোটি আটকের পর গজারিয়ায় নৌ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ স্পিডবোট নিয়ে জাহাজটি ধাওয়া করে। পরবর্তীতে গজারিয়ার নৌ রুটে প্রবেশের পরপরই তা আটক করা হয়। নৌ-পুলিশের টহল বোট পিছু নেওয়ায় দুর্ঘটনার পর পণ্যবাহী জাহাজ থেকে কেউ পালাতে পারেননি। জাহাজটিতে চালক ও ক্রুসহ ১৩ জন ছিলেন।
গজারিয়া নৌপুলিশের ইন্সপেক্টর এজাজ আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার পর পরই আমাদের স্পিডবোটে জাহাজটির পিছু নিই। পরে জাহাজটি আটক করা হয়।
কাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশের এই পরিদর্শক বলেন, জাহাজে থাকা কারও পরিচয় আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তাদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পরে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
এদিকে মালবাহী কার্গো জাহাজের সামনে পড়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় দুই শিশুসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
রবিবার দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার মরদেহগুলোর মধ্যে ১০ বছরের এক মেয়ে শিশু, তিন বছরের এক ছেলে শিশু, ১৭ বছরের এক কিশোরী, ২৮ বছরের একজন নারী ও আনুমানিক ৫০ বছরের এক ব্যক্তি রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নদীতে একটি কার্গো জাহাজের সামনে পড়ে মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। লঞ্চটিতে আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। পরে ১৫ থেকে ২০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে সাঁতরে তীরে উঠে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী জানান, দুপুর ১ টা ৫৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ লিঞ্চ টার্মিনাল থেকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মাঝারি আকারের লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
লঞ্চডুবির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বড় কার্গো জাহাজ সোজা নদী বরাবর চলছে। তার সামনে একটি ছোট লঞ্চ আটকে আছে। ধীরে ধীরে তা কাঁৎ হয়ে ডুবে যায়। এসময় লঞ্চের ওপরে থাকা মানুষজন প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে ১৫ থেকে ২০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, লঞ্চ ডুবির ঘটনা শুনেই ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আরেফীন বলেন, আনুমানিক ৫০ জন জাহাজে ছিল।