রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » লা লিগা: রায়োকে হারিয়ে এ্যাথলেটিকোর জয়ের ধারা অব্যাহত
লা লিগা: রায়োকে হারিয়ে এ্যাথলেটিকোর জয়ের ধারা অব্যাহত
কোকের একমাত্র গোলে রায়ো ভায়োকানোকে হারিয়ে লা লিগা টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। হুয়াও ফেলিক্সের দুর্দান্ত পাস থেকে ৪৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন কোক।
এনিয়ে টানা পঞ্চম জয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এ্যাথলেটিকো শীর্ষ চারে টিকে থাকার লড়াইয়ে আবারো নিজেদের দারুনভাবে ফিরিয়ে আনলো। বদলী খেলোয়াড় এ্যাঞ্জেল কোরেয়া ৮৫ মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠত্যাগ করলে ইনজুরি টাইম মিলিয়ে শেষ ৯ মিনিট ১০জন নিয়ে খেলতে হয়েছে এ্যাথলেটিকোকে। কিন্তু মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বিদায় করে ফুরফুরে মেজাজে থাকা এ্যাথলেটিকো কালও নিজেদের আধিপত্য ভালই প্রমান করেছে।
এই জয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা রিয়াল বেটিসের থেকে পাঁচ পয়েন্ট ও চতুর্থ স্থানে থাকা বার্সেলোনার থেকে চার পয়েন্ট এগিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিয়েগো সিমিওনের দল। যদিও বেটিসের হাতে এক ও বার্সেলোনার হাতে রয়েছে বাড়তি দুই ম্যাচ। ইউনাইটেডকে বিদায় করার আগে আগে লিগে কাডিজের বিপক্ষে জয়ের পর গত সাতদিন দারুন এক সময় কাটিয়ে সিমিওনের দল স্বস্তি নিয়েই আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাচ্ছে।
শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্র অনুযায়ী শেষ আটে এ্যাথলেটিকোর প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এ্যাথলেটিকো সুষ্পষ্ট ভাবেই আন্ডারডগ হলেও ফর্ম ও আত্মবিশ্বাসের কারনে সঠিক সময়েই তারা লড়াইয়ে ফিরেছে।
কাল ম্যাচ শেষে কোক বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমরা চাবি পেয়ে গেছি। প্রতিটি ম্যাচেই আমরা নিজেদের প্রমান করা শুরু করেছি। পুরো দলই আগের চেয়ে অনেক বেশী ভাল খেলছে এবং এর ফল আমরা দিনশেষে পাচ্ছি। আমরা একসাথে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
সিমিওনের আস্থার প্রতিদান দিয়ে দারুনভাবে নিজেকে প্রমান করে চলেছেন ফেলিক্স। অভিজ্ঞ লুইস সুয়ারেজকে আবারো বদলী বেঞ্চে বসিয়ে ২২ বছর বয়সী এই পর্তুগীজ স্ট্রাইকারের ওপর আস্থা রেখেছিলেন সিমিওনে। এনিয়ে গত সাত ম্যাচে গোল ও এসিস্ট মিলিয়ে স্কোরকার্ডে ফেলিক্সের নাম জমা পড়েছে সাতবার। এনিয়ে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে সুয়ারেজ বদলী বেঞ্চে ছিলেন। আক্রনমনভাবে আঁতোয়ান গ্রীজম্যানের সাথে ফেলিক্সকেই বেশী পছন্দ করছেন সিমিওনে। আর এই জুটিও মাঠে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন।
অন্যদিকে লিগে ১০ ম্যাচ জয়বিহীন থাকা রায়ো টেবিলের ১২তম স্থানেই রয়েছে। অথচ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছির রায়ো। কিন্তু টানা ব্যর্থতায় এখন রেলিগেশন জোন থেকে মাত্র আট পয়েন্ট উপরে রয়েছে।
কাল ভায়েকাসের মাঠে ৪৯ মিনিটে ফেলিক্সের পাস থেকে কোক যখন বল পান রায়োর রক্ষনভাগ তখন একেবারেই আগোছালো ছিল। কেউই কোকের দিকে নজড় দেয়নি। এই সুযোগে কার্লিং ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান কোকে। কিছুক্ষন পরেই গ্রীজম্যান ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পান। কিন্তু পোস্টের খুব কাছে থেকে তার শট রুখে দেন রায়ো গোলরক্ষক স্টোল দিমিত্রিভেস্কি। ৮৫ মিনিটে আলেহান্দ্রো কাটেনাকে ফাউলের অপরাধে কোরেয়া মাঠত্যাগে বাধ্য হন। ইনজুরি টাইমে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি রায়োর ডিফন্ডার ইখান বালিউ।