শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » মার্কিন বিরোধিতা সত্ত্বেও আমিরাত সফরে আসাদ
মার্কিন বিরোধিতা সত্ত্বেও আমিরাত সফরে আসাদ
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গেছেন সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ। ২০১১ সালে সিরীয় যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার (১৮ মার্চ) প্রথম তিনি কোনো আরব দেশে সফরে করেন। যদিও এই সফরের বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র।-খবর রয়টার্স
এই সফর আমিরাতের সঙ্গে আসাদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠারই আভাস দিচ্ছে। সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল মার্কিন মিত্র আমিরাত।
সফরে আবুধাবির সিংহাসনের উত্তরসূরি প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। আমিরাতের সংবাদসংস্থা ডব্লিউএএম বলছে, আবুধাবির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী সিরীয় সরকার।
খবরে বলা হয়, আরব দেশগুলোর নিরাপত্তায় সিরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যে কারণে সিরীয় সরকারের সঙ্গে আমিরাত কাজ করতে চাচ্ছে।
ডব্লিউএমও’র পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সিরীয় ও আমিরাতের পতাকার সামনে শেখ মোহাম্মদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাসার আল-আসাদ। কথা বলার সময়েও তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য দেখা গেছে।
তবে এ সফরের বিরুদ্ধে তীব্র ভর্ৎসনা এসেছে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফরের মাধ্যমে আসাদকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা পরিষ্কার হয়ে ওঠেছে। যা গভীরভাবে হতাশ ও বিরক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট এরআগে কেবল ইরান ও রাশিয়ায় সফরে গেছেন। এই দুই মিত্রের সামরিক সহায়তার কারণে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীরা সফল হতে পারেনি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ উপসাগরীয় দেশগুলো বিরোধী গোষ্ঠীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।
সিরীয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের সঙ্গেও আসাদের বৈঠক হয়েছে।
সিরীয় বিদ্রোহের ১১তম বছর পূর্ণ হওয়ার সময় তিনি এই সফর করেছেন। এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মিত্র ও অংশীদারদের ঐক্যবদ্ধ করতে জোরালোভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আসাদকে পুনর্বাসন ও তার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ করার বিরুদ্ধে মার্কিন অবস্থান বহাল আছে। সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, আসাদ সরকারের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে দেশগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে দেখতে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। গেল দশকে সিরিয়ার সরকার যে নৃশংসতা চালিয়েছে, তা যাতে সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া সিরিয়ায় মানবিক ও নিরাপত্তা সহায়তা পৌঁছাতে দিচ্ছে না আসাদ সরাকর। এসব কিছু বিবেচনা করেই যাতে সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।