বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে রোডম্যাপ প্রস্তাব করেছে ঢাকা
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে রোডম্যাপ প্রস্তাব করেছে ঢাকা
বাংলাদেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য রোডম্যাপ প্রস্তাব করেছে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক আলোচনায় এ আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং তার সৌদি প্রতিপক্ষ প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
আলোচনার সময়, উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল ক্ষেত্র পর্যালোচনা এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে মতবিনিময় করেছে।
পর্যালোচনা ও আলোচনায় যেসব বিষয় উঠে এসেছে তার মধ্যে ছিল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল নিয়োগ, হজ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, আইসিটি ও পর্যটন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, কিছু সৌদি কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে কিছু খাতে বিনিয়োগ করেছে এবং কিছু কোম্পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বেশি সম্পৃক্ততার কথা ভাবছে। তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা কামনা করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও পরামর্শ দেন যে, একটি যৌথ ব্যবসায়িক ফোরাম চালু করা এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বিনিময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারে।
ড. মোমেন সৌদি আরবে ১০ বিলিয়ন গাছ এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ৫০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্স কর্তৃক গৃহীত সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভের সাথে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব সহ ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য জড়িত থাকার ছয়টি নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছেন।
অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো হলো চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে সৌদি বিনিয়োগ; পর্যটন ও হোটেল শিল্পের উন্নয়নে এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃস্থানীয় সৌদি কোম্পানির বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য কৃষি উৎপাদনের জন্য তৃতীয় দেশে চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ এবং সৌদি উদ্যোগে বাংলাদেশে দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উন্নয়ন।
উভয় নেতা স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের প্রাধান্য এবং জাতিসংঘের সনদ সমুন্নত রাখার বিষয়ে সকল প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুতে অবস্থানের ঘনিষ্ঠতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সৌদি পক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আলোচনার শেষে, উভয় নেতা শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা চুক্তি এবং দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দিনের সফর শেষ করে আজ ঢাকা ত্যাগ করেছেন।