বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » বঙ্গবন্ধু ত্রিকালদর্শী মানুষ ছিলেন: শিক্ষামন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু ত্রিকালদর্শী মানুষ ছিলেন: শিক্ষামন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ত্রিকালদর্শী মানুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যৎ পড়তে পারতেন। তার ইতিহাস বোধ বাঙালি জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছেন। বাঙালির কী চাওয়া, তাদের দাবি, আশা ও আকাঙ্ক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তিনি সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সব মানুষ এক হয়ে যেত। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে অনেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বললেও তিনি তা দেননি। তিনি ভবিষ্যৎ পড়তে পারতেন। তার ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ নিতেন। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয় বরং সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বলেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, একটা প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের কাঠামোতে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের পরে একটা যুদ্ধবিধস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন। যুদ্ধবিধস্ত দেশ, রাস্তাঘাট নেই, হাসপাতালে নেই, খাদ্য নেই, এরমধ্যে এক কোটি শরণার্থী দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এনে তাদের পুনর্বাসন করা থেকে শুরু সবই করেছিলেন। দেশের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়া তিন কোটি মানুষকে নতুন করে বাঁচার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এরমধ্যে আবার সারাবিশ্বের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করা এবং স্বাধীন দেশে নতুন নতুন শত্রুদের মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, একজন মহানায়ক দেশে বারবার আাসে না, একবার জন্মান। বঙ্গবন্ধু হচ্ছে সেই মহানায়ক। তার মতো করে এমন ত্যাগ আর কেউ করতে পারেনি। তিনি আমাদের আশ্রয় ও পথ চলার নির্দেশদাতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রের ভীত স্থাপন করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।